অসুস্থ শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক! মালদার গাজোলে কার্যত বিনা চিকিত্‍সায় মৃত ২, গ্রেফতার অভিযুক্ত

Continues below advertisement
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখছি আমরা। হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, কথায় কথায় ভিডিও কল, চ্যাট। কিন্তু এসবের মধ্যেও, কোথাও কি এখনও আটকে রয়েছি মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের জালে? প্রশ্ন তুলে দিল মালদার গাজোলের শিশুমৃত্যুর ঘটনা। অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে ঝাড়ফুঁক করানোর অভিযোগ। দুই শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি আরও দু’জন।
শুক্রবার মালদার গাজোলের কদমতলি গ্রামের এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা এলাকায়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিকেলে বাড়ির পাশের ফাঁকা জায়গায় খেলছিল ৪ শিশু। প্রত্যেকেরই বয়স ৩ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে চারজনই! পেটে ব্যথার পাশাপাশি বমি হয়। হাতুড়ের ওষুধে কাজ না হওয়ায় ডাকা হয় ওঝাকে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, রাত ৮টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে ঝাড়ফুঁক। তার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সাত বছরের মহম্মদ ফিরোজ। রাতে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এরপর মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় মহম্মদ সাফিকুল নামে আরও এক বছর চারেকের শিশুর। বাকি দু’জন এখনও হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। চিকিত্‍সকরা বলছেন, আর কিছুক্ষণ আগে নিয়ে এলে হয়ত বাঁচানো যেত দুটি শিশুকে। গাজোলের বিএমওএইচ সুজন অধিকারী জানিয়েছেন, ‘শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে...দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে রেখে দেওয়ার ফলেই মৃত্যু। আগে এলে হয়ত বাঁচানো যেত।’ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত ওঝা আব্দুল রফিক। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে গাজোল থানার পুলিশ।
যুক্তিবাদীরা বলছেন, এই সময়ে দাঁড়িয়েও মধ্যযুগীয় কুসংস্কারে ভর করে পিছন দিকে হেঁটে চলেছেন কেউ কেউ। তাই ওঝার হাতে প্রাণ যাচ্ছে একরত্তি শিশুর। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধি দল শনিবার ঘটনাস্থলে যায়। কথা বলা হয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে। 
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram