নেতাজির জন্মদিনেও সিএএ, এনআরসি নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
Continues below advertisement
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ধর্মনিরপেক্ষ, আত্মনির্ভর, বলিষ্ঠ ভারতের স্বপ্ন দেখতেন! তিনি বলেছিলেন, ‘‘ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়া উচিত৷ ধর্ম ব্যক্তি বিশেষের হওয়া উচিত৷ ব্যক্তি হিসাবে মানুষ যে ধর্ম পছন্দ করে তা অনুসরণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে৷ কিন্তু ধর্মীয় বা অতীন্দ্রিয় বিষয়ের দ্বারা রাজনীতি পরিচালিত হওয়া উচিত নয়৷ তা পরিচালিত হওয়া উচিত শুধুমাত্র অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক বিচার বুদ্ধি দিয়ে৷’’ আজকের ভারতে যখন সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তীব্র, তখন তাঁর জন্মজয়ন্তীতেও সেই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত রইল।
বৃহস্পতিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রেড রোড পর্যন্ত মিছিল করেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সোমেন মিত্ররা। মিছিলের সামনে ছিল নেতাজির ছবি ও দেশপ্রেম লেখা ব্যানার। তবে মিছিলে কোনও দলীয় পতাকা ছিল না, ছিল শুধু জাতীয় পতাকা। সিএএ-এনআরসি নিয়ে উত্তাল দেশ। আন্দোলনে সরব তৃণমূলও। এই প্রেক্ষাপটে তারাও স্মরণ করছে নেতাজিকে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের বক্সা দুর্গে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন তিনি।
স্বাধীনতার আন্দোলন যখন দেশজুড়ে ঢেউ তুলেছে, তখন নেতাজি বলেছিলেন, ‘গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়গত খণ্ড চিন্তা নয়, সমগ্র জাতিকে জড়িয়েই চিন্তা করতে ও অনুভব করতে আমাদের শিখতে হবে৷ সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রের যে সত্যটি সম্বন্ধে আমাদের নিরক্ষর দেশবাসীর চোখ আমাদেরই খুলে দিতে হবে, তা হল, ধর্ম, জাত ও ভাষার পার্থক্য থাকলেও আর্থিক সমস্যা ও অভিযোগগুলি আমাদের সকলেরই এক৷ … দারিদ্র ও বেকারি, অশিক্ষা ও রোগগ্রস্ততা, কর ও ঋণের বোঝা সব সমস্যাই হিন্দু ও মুসলমান সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগণকে একইভাবে আঘাত করে এবং এগুলির সমাধানও সর্বাগ্রে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের উপর নির্ভর করে৷’’ দেশবাসী কি নেতাজির এই বক্তব্যের মর্মার্থ আজও বুঝে উঠতে পেরেছে?
বৃহস্পতিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রেড রোড পর্যন্ত মিছিল করেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সোমেন মিত্ররা। মিছিলের সামনে ছিল নেতাজির ছবি ও দেশপ্রেম লেখা ব্যানার। তবে মিছিলে কোনও দলীয় পতাকা ছিল না, ছিল শুধু জাতীয় পতাকা। সিএএ-এনআরসি নিয়ে উত্তাল দেশ। আন্দোলনে সরব তৃণমূলও। এই প্রেক্ষাপটে তারাও স্মরণ করছে নেতাজিকে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের বক্সা দুর্গে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন তিনি।
স্বাধীনতার আন্দোলন যখন দেশজুড়ে ঢেউ তুলেছে, তখন নেতাজি বলেছিলেন, ‘গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়গত খণ্ড চিন্তা নয়, সমগ্র জাতিকে জড়িয়েই চিন্তা করতে ও অনুভব করতে আমাদের শিখতে হবে৷ সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রের যে সত্যটি সম্বন্ধে আমাদের নিরক্ষর দেশবাসীর চোখ আমাদেরই খুলে দিতে হবে, তা হল, ধর্ম, জাত ও ভাষার পার্থক্য থাকলেও আর্থিক সমস্যা ও অভিযোগগুলি আমাদের সকলেরই এক৷ … দারিদ্র ও বেকারি, অশিক্ষা ও রোগগ্রস্ততা, কর ও ঋণের বোঝা সব সমস্যাই হিন্দু ও মুসলমান সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগণকে একইভাবে আঘাত করে এবং এগুলির সমাধানও সর্বাগ্রে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের উপর নির্ভর করে৷’’ দেশবাসী কি নেতাজির এই বক্তব্যের মর্মার্থ আজও বুঝে উঠতে পেরেছে?
Continues below advertisement