কলকাতায় আজ মরশুমের শীতলতম দিন, আগামী দু’দিন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ
Continues below advertisement
কনকনে শীতে বর্ষ বিদায়। বৃষ্টিতে বর্ষবরণ। আগামী দু’দিন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ ও শীতল দিন। মঙ্গলবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা। ১ থেকে ৩ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। এদিকে, কলকাতায় আজ এ মরশুমের শীতলতম দিন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। এর আগে, ২০ ডিসেম্বর পারদ নেমেছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা বাঁকুড়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারে শিলাবৃষ্টি। সিকিম ও দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের ৯টি জেলা ও উত্তরবঙ্গের ৪ জেলায় শীতল দিনের সতর্কতা। রাতে শৈত্যপ্রবাহ দক্ষিণের ১২ ও উত্তরের ৭ জেলায়। আজ শীতল দিনের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে। উত্তরের জলপাইগুড়ি, মালদা ও দুই দিনাজপুরে। আজ রাতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আগামীকাল শীতল দিনের পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, মালদা ও দুই দিনাজপুরে। ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারত। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। উত্তর ভারত জুড়ে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমেছে। দিল্লি বিমানবন্দরে চারটি বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। ১২০ বছরের মধ্যে রাজধানীতে দ্বিতীয়বার এতটা নিচে নেমেছে পারদ। এর আগে সবথেকে ঠান্ডা পড়েছিল ১৯০১ সালের ডিসেম্বর মাসে। এদিকে, পারদ পতনের নিরিখে গতকাল আন্টার্কটিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে দ্রাস এবং কার্গিল। আন্টার্কটিকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যেখানে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে লাদাখের দ্রাসে পারদ নামল মাইনাস ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। কারগিলের পারদ নামল মাইনাস ২৭ ডিগ্রিতে এবং লে মাইনাস ২০ ডিগ্রি। শীতে জবুথবু জম্মু-কাশ্মীরও। গতকাল শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৬ ডিগ্রি। আর পহেলগামের পারদ নামে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের বহু জায়গার পারদ এখন হিমাঙ্কের নীচে। বরফে ঢেকেছে কেদারনাথ মন্দির।
Continues below advertisement