ছাত্র আন্দোলনের জের, নিউটাউনে চলছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর অস্থায়ী অফিস

Continues below advertisement
বেনজির সঙ্কট প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিউটাউন থেকে অফিস করছেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। হিন্দু হস্টেল সংক্রান্ত একাধিক দাবিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ছাত্র আন্দোলন। এক মাসের বেশি সময় ধরে উপাচার্যর ঘরের বাইরে চলছে অস্থান বিক্ষোভ। ৫ দিন ঘেরাও হয়ে থেকেছেন ডিন। ক্যাম্পাসে রাত্রিবাস করতে হয়েছে রেজিস্ট্রারকে। তিন দিন ঘেরাওয়ের পর অসুস্থ উপাচার্যকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সে করে। এখনও আন্দোলন চলছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, সুস্থ হওয়ার পরেও ক্যাম্পাসে যেতে চাইছেন না উপাচার্য। এই অবস্থায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে চলছে উপাচার্যর অস্থায়ী অফিস। উপাচার্যর সাফ কথা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কলেজস্ট্রিটে যাবেন না। অভিযোগ, সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না।
হিন্দু হস্টেলের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদের জন্য খুলে দেওয়ার দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হস্টেলের রান্নাঘরের ৮ কর্মীর বদলি প্রত্যাহারের দাবি। আন্দোলনে সামিল সল্টলেকের গার্লস হস্টেলের আবাসিকরাও। পরিকাঠামোগত অসুবিধার পাশাপাশি রাত দশটার পর কেন ছাত্রীরা হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে শুরু হয়েছে আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সদুত্তর না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অনড় পড়ুয়ারা। সদুত্তর চান উপাচার্যর। উপাচার্য বলছেন, যা বলার বলা হয়ে গেছে। ঘেরাও-অবস্থান তুলে নিলে তবেই কথা বলা যেতে পারে। এই জটেই অধরা সমাধানসূত্র।
বাম আমলে আন্দোলনের জেরে বাড়িতে বসে কাজ করতে হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সন্তোষ ভট্টাচার্যকে। সেই রোগ কি এবার ঢিল ছোড়া দূরের প্রেসিডেন্সিতে? প্রশ্ন শিক্ষামহলের একাংশে।
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram