Train Accident: নিজেদের দোষ আড়াল করতেই কি মৃত ব্যক্তির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা রেল কর্তৃপক্ষের?
ABP Ananda LIVE: টানা চারটে নাইট ডিউটি, তারপর ষোলো ঘণ্টা বিশ্রাম। মালগাড়ির চালকদের ডিউটির ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। কিন্তু এক্ষেত্রে রেলের কর্মী সংগঠনের অভিযোগ, ঘাতক মালগাড়ির চালক টানা চারটে নাইট ডিউটি করেছিলেন, তারপরেও, সেই একই ব্য়ক্তিকে পঞ্চম দিন ভোরে তাঁকে মালগাড়ি চালাতে পাঠানো হয়! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলে প্রচুর শূন্য়পদই এর জন্য় দায়ী। সেক্ষেত্রে কেন এই শূন্য়পদ পূরণে সরকার উদ্য়োগী হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। রেলের দাবি, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ি একই লাইনে থাকলেও, দুই চালককে ছাড়পত্র হয়েছিল নিয়ম মেনে। কাঞ্চনজঙ্ঘার জন্য সকাল ৮টা ২০-তে মেমো ইস্যু করা হয়েছিল।নিয়ম মেনে ১৫ মিনিট পর ৮টা ৩৫-এ মেমো দেওয়া হয় মালগাড়ির চালককে। প্রশ্ন উঠছে, নিয়ম মেনে সমস্ত কিছু হলে, সিগনাল উপেক্ষা করার বিষয়টি ঘটল কী করে? দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনককুমার গর্গের তত্ত্বাবধানে কাল থেকে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। কারও কাছে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত কোনও তথ্য থাকলে তাঁরা তা তদন্ত কমিশনের কাছে জানাতে পারবেন। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের ADRM-এর অফিসে এই কমিশন বসবে। এ ছাড়াও সুরক্ষা কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া যেতে পারে। 'মৃত পাইলটের কাঁধে বন্দুক রেখে রেল এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে' রেল দুর্ঘটনায় মোদি সরকারকে নিশানা উদয়ন গুহর।