ABP Ananda Exclusive: ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ইঞ্জেকশন কিনেছিল দেবাঞ্জন, দোকানের খোঁজ পেল এবিপি আনন্দ
মেহতা বিল্ডিংয়ের একটি ওষুধের দোকান থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন ও ইঞ্জেকশন কিনেছিল প্রতারণাকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। সেই দোকানেরই হদিশ পেল এবিপি আনন্দ। দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ভ্যাকসিনের (Fake Vaccine) করা হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা। ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হচ্ছে নমুনা। ওই ভ্যাকসিনে বিষাক্ত কিছু আছে কি না, তা জানতে হবে পরীক্ষা। ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছেও যাচ্ছে ভ্যাকসিনের নমুনা। কী দিয়ে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন, তা খুঁজবেন ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের নামে প্রচুর মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছে দেবাঞ্জন দেব। এই ইঞ্জেকশন মানুষের শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে, কতটা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে দেবাঞ্জন দেবকে জেরায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের দাবি, ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১ বছর ধরে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরই ছক সাজিয়ে ফেলে সে। শুরুতে পিপিই, মাস্কের ব্যবসা করবে বলে ঠিক করলেও, ধীরে ধীরে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে একের পর এক ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করতে থাকে।
অমানবিক কাজ। বিকৃত মানসিকতা। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর। খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস। পাশাপাশি এধরনের সামাজিক ক্যাম্প আয়োজন করতে সব জায়গায় পুলিশের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।