Narada Scam Probe : 'CBI-কে কাজ করতে বাধা, ন্যায্য বিচার যাতে না হয় তার চেষ্টা চলছে', আদালতে CBI-এর কৌঁসুলি

Continues below advertisement

হাইকোর্টে শুরু নারদ-মামলার শুনানি। ৪ হেভিওয়েটের জামিন-স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনা আর্জির শুনানি শুরু। ‘জামিন হবে কি হবে না আমরা কেন সিদ্ধান্ত নেব?’ শুধুমাত্র মানুষের চাপের অভিযোগ ছিল বলে স্থগিতাদেশ দিয়েছি’ বললেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।  ‘দেশের ইতিহাসে এরকম হয়নি’, সওয়াল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার। ‘চার্জশিট পেশ করা হয়ে গিয়েছে। এই ৪ জনকে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে’। এঁরা অসহযোগিতা করেছেন এমন কোনও উদাহরণ আছে? এই করোনাকালে এঁদের শুধুশুধু জেলে রাখার প্রয়োজন আছে কি?’ তুষার মেহতার উদ্দেশে প্রশ্ন বিচারপতির। জবাবে তুষার মেহতা বলেন, অভিযুক্তরা জেলে নেই, তাঁরা হাসপাতালে আছেন। তিনি যোগ করেন, ‘এই আদালত সিবিআইকে নিয়োগ করেছিল। তাদেরকেই কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যাতে ন্যায্য বিচার না হয় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ পাল্টা হেভিওয়েটদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘অভিযুক্তদের না জানিয়ে আদালতে মামলা হচ্ছে। তখন তাদের ন্যায় বিচারের কথা মনে ছিল না?’ তিনি যোগ করেন, ‘ছলে-বলে-কৌশলে তাঁরা এই চারজনকে জেলে ঢোকাতে চাইছে।’ তখন তুষার মেহতা বলেন, ‘নিজাম প্যালেস ঘেরাও হয়েছে, জোর করে ভেতরে ঢুকতে চেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতারের কথা বলেছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘নিঃশর্তভাবে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে। সিবিআই অফিসারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে।' তুষার মেহতা তাঁর সওয়ালে আরও বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হয়েছে। ৪ জনের মেডিক্যাল করানো যায়নি। শারীরিকভাবে বিচারকের সামনে পেশ করা যায়নি।’ সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী নিজে সারাদিন নিম্ন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষকে নিয়ে। এতে বিচারকের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। কেস ডায়েরি পেশ করতে সিবিআইয়ের আইনজীবীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নেওয়া হয়েছে।’

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram