Subrata Mukherjee: গান স্যালুটে বিদায়, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের শেষযাত্রায় মানুষের ঢল | Bangla News
সুব্রত মুখোপাধ্যায় মানে একটা আস্ত যুগ। যার শেষ হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তাই তো তাঁর মৃত্যুতে রাজপথে জনস্রোত। বালিগঞ্জের বাড়ি থেকে মৃতদেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল গাড়িতে। সঙ্গে হাঁটলেন অসংখ্য মানুষ। কারও চোখে জল, কারও মুখ থমথমে। কেউ এসেছিলেন শেষবারের জন্য একটু মুখটা দেখতে। মুখের সেই পরিচিত হাসি আর আজ নেই। তবুও, একটা বারের জন্য শেষ দেখা, শেষ শ্রদ্ধা, শেষ বিদায়।
বন্ধুদের স্মৃতিচারণা, ছোটদের শ্রদ্ধা, নিজের দল থেকে বিরোধী, সবার চোখেই চির সবুজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ শুধু একটা দলের ক্ষতি নয়। বরং বঙ্গ রাজনীতির আকাশ থেকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের হারিয়ে যাওয়া। যে নক্ষত্র বছরের পর বছর, ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা, অজস্র তরুণকে পথ দেখিয়েছে। ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্রর সঙ্গে রাজনীতি করে আসা নেতা এ রাজ্যের রাজনীতিতে আর ক’জনই বা রয়েছেন! তাই যে দলেরই হোন, তাবড় রাজনীতিকের কাছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন উৎসব অন্ত প্রাণ। অথচ, সেই উৎসবের রাতেই চলে গেলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে যখন ঘরে ঘরে আলো জ্বালিয়ে দীপাবলি পালন হচ্ছে, তখনই হঠাৎ বাজ পড়ার মতো আছড়ে পড়ে খবরটা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তখন বাড়ির কালীপুজোয় ব্যস্ত। বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে এমন নেতার সংখ্যা হাতে গোনা, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুই বলে সম্বোধন করেন। তার মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায় একজন। তাঁর জন্য বাড়ির কালীপুজো ফেলে এসএসকেএমে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বেরিয়ে এসে, তিনিই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করেন। অভিভাবক হারানোর যন্ত্রণা তাঁর চোখেমুখে ছিল স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃতদেহ তিনি দেখতে পারবেন না। শুক্রবার শেষযাত্রায় ছিলেন না তিনি। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।