Militan News: JMB-র হাত ধরেই সক্রিয় ABT। মুর্শিদাবাদের জেলে হামলা করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ষড়যন্ত্রও?
ABP Ananda Live: মুর্শিদাবাদে জেল ভেঙে খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত এক জঙ্গিকে ছাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের! ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে তাদের এও পরিকল্পনা ছিল, সংখ্য়ালঘু প্রধান জেলা মুর্শিদাবাদে, আরও একটা ঘাঁটি তৈরির! ধৃতদের জেরা করে এমনই সব চাঞ্চল্য়কর তথ্য় পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, ধৃত জঙ্গি আব্বাস যখন পকসো মামলায় বহরমপুর জেলে বন্দি ছিল, সেইসময় জেলে তার সঙ্গে আলাপ হয়, খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত জঙ্গি, সাদিক সুমনের। তাকেই জেল থেকে বের করার ছক কষছিল ABT-র জঙ্গিরা! পাশাপাশি, এটাও জানা গেছে যে, ধৃত নূর ইসলাম, খাগড়াগড়কাণ্ডের আগে, সেই শিমুলিয়া মাদ্রাসায় ট্রেনিং পর্যন্ত নিয়েছিল!
পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র ৫১ কিলোমিটার দূরে, অসমের কোকরাঝাড়ে ঘাঁটি গেড়ে, বড়সড় কোনও ছক কষছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিরা। নদীর চরকে কাজে লাগিয়ে, তৈরি হয়েছিল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই প্রথম, জঙ্গিদের সেই ঘাঁটির একেবারে ভিতরে পৌঁছল এবিপি আনন্দ। এখনও সেখানে রয়েছে বাঁশের কাঠামো, ত্রিপলের আচ্ছাদন। যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র চালানো, IED-র ব্যবহার শেখানো হত বলে গোয়েন্দাদের অনুমান।
চূড়ান্ত ভারত-বিদ্বেষী আবহের মধ্যেই, বাংলাদেশে বসে এভাবেই ভারতকে টুকরো করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন জঙ্গি নেতারা। নিশানা করা হচ্ছে 'সেভেন সিস্টার্স' ও 'শিলিগুড়ি করিডর'কে যা 'চিকেনস নেক' বলে পরিচিত। আর এই আবহেই অসমে বাংলাদেশি জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পৌঁছল এবিপি আনন্দ। জঙ্গিদের ট্রেনিং ক্য়াম্পে প্রথমবার ঢুকল সংবাদমাধ্য়মের ক্য়ামেরা। পশ্চিমবঙ্গের ঘাড়ে কার্যত কীভাবে নিঃশ্বাস ফেলছিল বাংলাভাষী জঙ্গিরা। গ্রাউন্ড জিরো থেকে তাই তুলে ধরল এবিপি আনন্দ। অসমের কোকরাঝাড় থেকে এবিপি আনন্দর এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।