Online Study Prob: গভীর সঙ্কটে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা, অমর্ত্য সেনের প্রতীচী প্রকাশিত রিপোর্টে ধরা পড়ল সেই ছবি

Continues below advertisement

মহামারীর মধ্যে কখনও লক, কখনও আনলক হয়েছে বাংলা। কিন্তু স্কুলের দরজা এখনও খোলেনি। গোটা দেশেই এক অবস্থা। রাজ্যে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি অনলাইন (Online Study) পড়াশোনাকে বিকল্প করে তুলেছে। কিন্তু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সরকারি স্কুলগুলিতে সেই পরিকাঠামো কোথায়? এই প্রেক্ষাপটেই কলকাতার ২১টি প্রাথমিক স্কুলে ৩,১০০ শিশু পড়ুয়াকে নিয়ে সমীক্ষা করেন অমর্ত্য সেনের প্রতীচী  ট্রাস্ট (Pratichi Trust)। তাদের পর্যবেক্ষণ অতিমারী পর্বে ৫-১০ বছর বয়সীদের স্কুল বন্ধ হওয়ায় পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। করোনাকালে দেশে ১৫ লক্ষ স্কুল বন্ধ। এর ফলে ২৮ কোটি সমস্যায় পড়েছে। ৬০ লক্ষ শিশু পড়ুয়া আগে থেকেই স্কুলছুট। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বহু সংখ্য়ক ছাত্রছাত্রী।

প্রতীচী  ট্রাস্টের সদস্যদের বক্তব্য অনলাইন পঠনপাঠনে সামর্থ্য নেই সরকারি স্কুলের প্রাথমিকের পড়ুয়াদের (Primary Student)। ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনায় না থাকার ফলে পঠনপাঠনে ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। মহামারীতে (Corona Pandemic) অভিভাবকদের একটা অংশ কর্মহীন তার ফলে কাজে যেতে হচ্ছে শিশুদের। পড়াশোনা ছেড়ে মা-বাবার সঙ্গী খুদে পড়ুয়ারা। 

লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকলেও খাদ্য সামগ্রী অভিভাবকদের হাতে দেয় রাজ্য (Mid-Day-Meal)। কিন্তু সমীক্ষকদের পর্যবেক্ষণ যেহেতু দারিদ্র্য এবং কর্মহীনতা গ্রাস করেছে তাই খাবারও ভাগ হয়ে গেছে পরিবারের মধ্য়ে। তাহলে এই সঙ্কট থেকে মুক্তি কীভাবে? প্রতীচীর রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনাকালে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। সেটা সার্বিকভাবে হলে সমস্যার সমাধান অনেকাংশেই সম্ভব। 

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram