Saumitra Khan: পাঁচ ঘণ্টার মধ্য়েই ডিগবাজি সৌমিত্র খাঁর, ইস্তফা প্রত্যাহার
পাঁচ ঘণ্টার মধ্য়েই ইস্তফা প্রত্যাহার সৌমিত্র খাঁর (Saumitra Khan)। যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না সৌমিত্র। বিএল সন্তোষ, অমিত শাহ, তেজস্বী সূর্যর নির্দেশে প্রত্যাহার। ফেসবুকে জানালেন একথা। পাঁচ ঘণ্টা আগে ফেসবুক লাইভে নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ।
শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) আক্রমণ করে তিনি বলেন, ""আমি কখনও ঘরের লোকের জন্য কিছু চাইনি। যা ভুল হবে, তা সবসময় তুলে ধরব। ব্যর্থতার দায় নিয়ে আগেই যুব মোর্চার পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রতি আমার আস্থা আছে। কিন্তু একজন নেতা এসে বলছেন, তাঁর নেতৃত্বে সবকিছু হচ্ছে। আমি এলাকায় না ঢুকেই ভোটে জিতেছিলাম। বারবার দিল্লি গিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, দেখাচ্ছেন যেন পার্টির জন্য জীবন দিয়েছেন। দলের জন্য আমাদেরও অনেক আত্মত্যাগ আছে। কেউ নিজেকে বড় বিজেপি নেতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। বিরোধী দলনেতা নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। নতুন নেতা এসে, দিল্লির নেতাকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করছেন। ভোটের আগে সব চোর-চিটিংবাজকে দলে যোগদান করিয়েছিলেন। আমাদের দলের সভাপতি অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না। বালি চুরি সরকার কড়া হাতে দমন করছে, ভাল করছে। একটা বিজেপিতে ২ জন নেতা হয়ে দল চালাচ্ছেন। আয়নায় মুখ দেখুন, নিজের মতো করে দল চালানোর চেষ্টা করবেন না। এভাবে চললে বাংলার মানুষ দুঃখেই থাকবে। যা হচ্ছে, তা দলের পক্ষে খারাপ হচ্ছে।"
এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "অনেকেরই এরকম অভ্যাস রয়েছে। এগুলো সিরিয়াসলি না নেওয়াই ভাল। রাজ্য মন্ত্রিসভাও যেদিন গঠন হয়েছিল সেদিন যাঁরা ফেসবুক করতে ভালবাসেন এমন তৃণমূল কংগ্রেস এমএলএরা পোস্ট করেছিলেন। সেদিনও কেউ এগুলো সিরিয়াসলি নেয়নি। আজকের ফেসবুক লাইভটাও আমি সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। সৌমিত্র খাঁ আমার ভাই হয়। ওঁকে আমি রাজনৈতিক সতীর্থ বলে মনে করি। আমি দিল্লি গেলে সৌমিত্রর বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া করি। তাই সৌমিত্র কী বলেছে না বলেছে তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি সৌমিত্রর শ্রীবৃদ্ধি চাই। তার জন্য সৌমিত্র আমার সহযোগিতা চাইলে আমি তা করব।"