দেশজুড়ে বিভিন্ন সময়ে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন নিয়ে কেন কিছু বলেন না ওয়েসি? রাজনীতি করার চেষ্টা করা হলে তীব্র বিরোধিতা হবে, হুঁশিয়ারি বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের

Continues below advertisement
রাজ্যে মিমের পা রাখার চেষ্টার পরই তুঙ্গে উঠেছে তরজা। দেশজুড়ে বিভিন্ন সময়ে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন নিয়ে কেন কিছু বলেন না ওয়েসি? রাজনীতি করার চেষ্টা করা হলে তীব্র বিরোধিতা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের। পাল্টা জবাব দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি।
বাংলায় ভোটের বাদ্যি বেজে গেছে। বঙ্গ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে ডান-বাম সব দলই ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটকে পাখির চোখ করছে। শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বাংলায় এসে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকে সামনে রেখে ভোটে লড়ার কথা জানিয়েছেন হায়দরাবাদের দল মিমের সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েসি।
কিন্তু, আসাদউদ্দিন ওয়েসি বাংলায় পা রাখার চেষ্টা করলেও, তাঁর রাজনীতির ধরনের সঙ্গে মোটেও একমত নয় বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। পাল্টা জবাব দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। যাঁর হাত ধরে বাংলায় পা রাখার স্বপ্ন দেখছেন হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েসি।
২০১১-র বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মূলত ছিল বাম-কংগ্রেসের পক্ষে। তারপর এর সিংহভাগই চলে আসে তৃণমূলের দিকে। এই পরিস্থিতিতে আব্বাস সিদ্দিকি ও আসাদউদ্দিন ওয়েসি সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসালে কার ক্ষতি, কার লাভ? ভোটের সময় ইমাম অ্যাসোসিয়েশেন কোন দিকে যেতে পারে? বাম-কংগ্রেস জোটের দিকে? না কি অন্য পক্ষে?
রাজ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা তিনটি: মালদা, মুর্শিদাবাদ, এবং উত্তর দিনাজপুর। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, হাওড়া, নদিয়া এবং দুই ২৪ পরগনার একাধিক গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রে মুসলিম জনসংখ্যা এতটাই বেশি, যে তারা চাইলে ভোটে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে। রাজ্যে অন্তত ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে মুসলিম ভোটাররা। আরও ৩০ থেকে ৩৫টি আসনে সংখ্যালঘু ভোটাররা নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে।
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram