J P Nadda's convoy attack: রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই, বিজেপি-কে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Continues below advertisement
‘কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষের একজোট হওয়া প্রয়োজন। কৃষক-স্বার্থে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম ধর্মতলার মোড়ে। প্রতিজ্ঞা ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণ করতে দেব না। মৃত্যু-মুখে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে গেছি। আমার চেষ্টাতেই মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা-শিশু কমিশন। বিজেপি কী করেছে বাংলার জন্য? কৃষকদের আন্দোলনের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। কেন্দ্রের ৩টি আইনই কৃষক বিরোধী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনে পরিবর্তনের কারণেই দামবৃদ্ধি। আগে রাজ্য সরকার আগু-পেঁয়াজ কিনে মজুত করত। সঙ্কটের সময় কমদামে বিক্রি করত। গরমকালে বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দেবে। মোদি সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান মানছে না। রাজীব গাঁধী ৪০০ সাংসদ নিয়েও ঔদ্ধত্য দেখাননি। ৩০০ সাংসদ নিয়ে মোদি যা ইচ্ছে তাই করছেন। আরএসএস হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক নয়। স্বামী বিবেকানন্দকে আমরা হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক মনে করি। ওরা একটা ঘৃণ্য ধর্মকে হিন্দু ধর্ম বলে চালানোর চেষ্টা করছে। যার সঙ্গে আপনার-আমার কোনও সম্পর্ক নেই। হিটলার-মুসোলিনি এভাবেই কাজ করত। কৃষি আন্দোলন থেকে চোখ ঘোরাতে জাতীয়তাবাদী তাস খেলছে। কখনও পাকিস্তান, কখনও চিনের নাম করছে। তৃণমূলের কাছে হিসেব চাওয়ার আগে পিএম কেয়ার্সের হিসেব দিন। হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন সংসদ ভবন বানাচ্ছেন। ওই টাকা কৃষকদের দেওয়া উচিত ছিল। গতকাল প্রচার পাননি, গুন্ডা নিয়ে জনসংযোগে গিয়েছিলেন। বাংলা থেকে কর নিয়েও প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেন না কেন? ঘূর্ণিঝড়ে বাংলার টাকাই বাংলাকে দিয়েছেন মোদি। লাগাতার মিথ্যে কথা বলে চলেছে বিজেপি নেতারা। বাংলায় বিনামূল্যে খাদ্য থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পায় মানুষ। আয়ুষ্মান প্রকল্পে ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। স্বাস্থ্যসাথীর পুরো টাকাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজন নেই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পের। রাজ্যে বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করল। শ্রমিকদের ফেরার কোনও ব্যবস্থাই করেনি মোদি সরকার। বিজেপি চায় দেশে তারা একা থাকবে, আর কেউ থাকবে না। মজুতে ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিয়ে মজুতদারদের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে। বিজেপি বাংলার রাজনৈতিক দল নয়। বিজেপি দিল্লি এবং গুজরাতের দল। গ্রামে বাইরের কাউকে দেখলেই থানায় জানান। বিজেপি বলছে বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। কলকাতা সবথেকে সুরক্ষিত শহর। রবীন্দ্রনাথের জন্ম নিয়েও মিথ্যে বলছেন বিজেপি নেতারা। বিরসা মুণ্ডা নিয়েও মিথ্যাচার করেছে বিজেপি। বিদ্বজ্জনরা প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ করুন। বাংলায় সব উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি, শুধু মিথ্যে বলছে বিজেপি। ভাষণ দিতে দিতে বিজেপি দলটাই হারিয়ে যাবে। কাল হেস্টিংসে নিজের দলের লোক নিয়েই নাটক করেছেন। যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তারাই ছিল হেস্টিংসে। গোটা বিজেপি দল, কেন্দ্র সরকার একদিকে, আমি একা একদিকে। দেখিয়ে দেব কার কত জোর। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ঢিল মারে কী করে? রাজ্য সরকার সকলকে নিরাপত্তা দেয়। আমি দিল্লি গেলে তোমরা কী করো? আমি দিল্লি গেলে বিজেপি গাড়ির সামনে ঝামেলা করে।’
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram