চিটফান্ডকাণ্ডে গ্রেফতারের দাবি কুণালের, মিথ্যা বলছেন, পাল্টা শোভন-বৈশাখী

Continues below advertisement

‘চিটফান্ডকাণ্ডে যাঁরা জেলে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কেন কুণাল নেই? কুণাল মিথ্যা কথা বলছেন, চিটফান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আইকোরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। উত্তম মঞ্চ একসময় বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। আইকোরকে বলেছিলাম উত্তম মঞ্চ ভেঙে বহুতল করা যাবে না। নিয়ম মেনে পুরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উত্তম মঞ্চ তৈরির পর উদ্বোধনে মমতাও যান। কুণাল নেতৃত্বকে ফাঁসিয়েছে, আমাকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কথা বলানোর চেষ্টা করেছিল কুণাল। অ্যাম্বুল্যান্স, মোটরবাইক কী কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল? ছবির প্রদর্শনী থেকে ছবি কিনতে লোক নিয়ে গিয়েছিল কুণাল। এত টাকা দিয়ে ছবি কেনার কথা কুণালকে কে বলেছিল? ‘আমি নীতিগত কারণে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলাম। রত্না একজন মনোরোগী। বৈশাখীর জন্য পদত্যাগ করিনি। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বৈশাখীকে আক্রমণ ঠিক নয়। বিধানসভা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয় আলোচনা হয়, ঠিক হয়নি। রত্নার মস্তিস্কবিকৃতি ঘটেছে। রাজনৈতিক মঞ্চে এসে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করতে পারতেন। রত্না অনেক গল্প ফাঁদেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। রত্না, তাঁর বাবা, তাঁর ভাই আমার সম্পত্তি ভোগ করছেন। রত্না বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। কিছুজনের হাতের খেলনা হচ্ছেন রত্না। সুদীপ্ত সেনের প্রোমোশনের অ্যাম্বুল্যান্স কোথা থেকে এনেছিল কুণাল? অ্যাম্বুল্যান্সের বরাত দেখাশোনা করত ফিরহাদ হাকিম। কুণাল অর্ধসত্য কথা বলছেন। কাগজের জন্য বিজ্ঞাপন চেয়েছিলেন কুণাল, সম্মত হইনি। কুণাল ঘোষ মিথ্যার মুখোশ পরে মমতাকে বিপথে চালিত করেছে। সিবিআই কী করবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। রাজীব কুমারকে আড়াল করেছেন মমতা। সৌগত রায় কত বড় জ্ঞানদাতা? আমি কখনও মমতার ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি। মমতার ছবি বিক্রি হতে সুদীপ্ত সেন, রোজভ্যালিকে ডেকে আনিনি। কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেন, আমাকে কেন ডাকেননি? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করার জন্য মমতার নির্দেশ মেনেছি। যতক্ষণ দলে ছিলাম, দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছি। কেন এখন যুব তৃণমূল নেতার খোঁজ চলছে? ফিরহাদ হাকিম টিকিট পেতে প্রণবদার বাড়ি যাননি? টিকিট পেতে মমতার পায়ে ধরেছিলেন ফিরহাদ হাকিম,’ দাবি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

‘শিক্ষিকা হওয়ার মর্যাদা তৃণমূল কেড়ে নিয়েছিল। আমি কখনও শোভনকে দেখিনি ঘুষ নিতে। কুণাল ঘোষ দেখে থাকলে কেন প্রতিবাদ করেননি? নারদকাণ্ডে বাকিদের কেন নাম নিচ্ছেন না? যখন জেলে ছিলেন তখন মমতা, মদনের নাম নিয়েছিলেন কুণাল। তখন মুখে শোভনের নাম নেননি, এখন কেন শোভনের নাম? যে সবসময় সঙ্গে থাকে, সেই আসল বন্ধু। ভাইপো যাঁর পরিচয়, তাঁকে তো ভাইপোই বলব। কেন একটি বাড়িকে দুর্গ করে রাখা হয়? কেন পায়ে হাঁটছিলেন, রাজ্যের এক নম্বর ফ্যামিলি থেকে এসেছেন। হেলিকপ্টারে যেতে পারতেন। মমতার ব্রেন ছিল মুকুল-শোভন। এঁরা দু’জন সরে যাওয়াতে তৃণমূলের সর্বনাশ,’ মন্তব্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram