COVID-19: করোনায় সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষার মৃত্যু

Continues below advertisement
করোনায় একদিনে রাজ্যে ৩ চিকিৎসকের মৃত্যু। করোনায় সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষার মৃত্যু। সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষা হাসি দাশগুপ্ত। করোনায় বালিগঞ্জের চিকিৎসক রমেন হাজরার মৃত্যু। জলপাইগুড়ির চিকিৎসক মৃণালকান্তি আচার্যের মৃত্যু। মঙ্গলবার মেডিক্যালে ভর্তি হন হাসি দাশগুপ্ত, আজ মৃত্যু। করোনা মুক্ত হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন চিকিৎসক রমেন হাজরা। পরে ফের অসুস্থ হওয়ায় ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে ভর্তি। ঢাকুরিয়া আমরিতে মৃত্যু চিকিৎসক রমেন হাজরার। শিলিগুড়ির হাসপাতালে মৃত্যু চিকিৎসক মৃণালকান্তি আচার্যের।
গতকাল জানা যায়, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ২৭১। রাজ্যে একদিনে করোনায় ৫১ জনের মৃত্যু। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যুতে শীর্ষে কলকাতা। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৮৪১, মৃত ১২। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত ৬৯৭, মৃত ১১। রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৩%।
ব্রিটেনের পরে এবার ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র রাশিয়ার। আগামী সপ্তাহেই টিকাকরণ শুরু করতে নির্দেশ। রুশ উপ প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।
অন্যদিকে, রাজ্যে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু। প্রথম টিকা পেলেন সিআইটি রোডের বাসিন্দা বিপ্লব যশ। বেলেঘাটার নাইসেডে গতকাল তাঁকে টিকা দেওয়া হয়। আজ সরকারিভাবে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল। ট্রায়ালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গরহাজির স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে। দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভ্যাকসিন নিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আজ থেকে নাইসেডে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও, গতকালই একজনকে বেলেঘাটার নাইসেডে একজনকে টিকা দেওয়া হয়। আজ প্রথম টিকা পেলেন বিপ্লব যশ। তবে, সরকারিভাবে আজ থেকে নাইসেডে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল। আজ সরকারিভাবে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল। টিকা দেওয়া হবে ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে। নাইসেড সূত্রে খবর প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালে ‘কোভ্যাকসিন’ ভাল ফল দিয়েছে। তৃতীয় দফার ট্রায়াল হবে দেশের ২৪টি কেন্দ্রে। টিকা দেওয়া হবে মোট ২৫ হাজার ৮০০ জনকে। তার মধ্যে কলকাতায় দেওয়া হবে ১০০০ জনকে। এটিই হতে চলেছে ভারতের সর্ববৃহৎ ট্রায়াল। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। বাড়ি নাইসেড থেকে ১০ কিলমিটারের মধ্যে। প্রত্যেককে ২ জোড়া করে দেওয়া হবে টিকা। যাঁরা টিকা নেবেন তাঁদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা NIV এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কো-ভ্যাকসিন’। অন্যদিকে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ‘কোভো-ভ্যাক্স’-এর ট্রায়াল হবে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর।
এদিকে, করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্যে তৈরি হল বিভ্রান্তি। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, দেশের সব মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা কখনই বলেনি সরকার। বরং এধরনের বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নিয়ে বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, করোনা ভ্যাকসিন বাজারে এলে, তা সবাইকে দেওয়া হবে। বিহার ভোটের আগেও একই প্রতিশ্রুতি দেন মোদি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সেই আশায় জল ঢালায় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram