West Bengal Elections 2021: তৃণমূলে ছাড়তে হবে মুখ-মুখোশের লড়াই, মন্তব্য মদনের, গেরুয়া রঙে ফেসবুক পোস্ট শীলভদ্রর

Continues below advertisement
‘তৃণমূলে ছাড়তে হবে মুখ-মুখোশের লড়াই। লড়াই ছেড়ে তৃণমূলের মুখশ্রী ঠিক করুন।’ প্যাক-আপ জল্পনার মধ্যেই মন্তব্য মদন মিত্রের।
এর আগে গতকাল তিনি বলেন, ‘ক্যাপসুল লিফট আমার বাড়িতে নেই।’ একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য মদন মিত্র। কিন্তু কাকে নিশানা করলেন দুঁদে রাজনীতিবিদ? রাজনৈতিক মহলে বেশ স্পষ্ট মদনের তির কার দিকে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে প্রথম খোঁচাটা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি, ধাপে ধাপে এই জায়গায় পৌঁছেছি। এরপরই আসরে নামেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লিফটে চড়লে ৩২টা পদ পেতাম, প্যারাসুটে নামলে দক্ষিণ কলকাতায় লড়তাম।
এখন প্রশ্ন হল, ক্যাপসুল লিফটের কথা বলে কার দিকে ইঙ্গিত করলেন মদন মিত্র? কোন হেভিওয়েটের বাড়িতে আছে ক্যাপসুল লিফট? এখানেই চুপ করে থাকেননি প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। আরও ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, কথায় কথায়, কলকাতা থেকে মালদা-মুর্শিদাবাদ যাই না। চপারে করে কলকাতা ছাড়ার ভাগ্য আমার নেই। কেউ আছে আলিপুরে, কেউ বারুইপুরে, কেউ ভবানীপুরে, গেট রেডি ফর প্যাকআপ। তৃণমূলে সবাই ড্রেসিংরুমে রয়েছে, মেকআপ তোলার পালা চলছে।
মদন মিত্রের এই মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, মদন কারও নাম বলেননি, দল ব্যবস্থা নেবে যদি মনে করে। এবিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি।  বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অনেকে বলতে পারছেন না, উনি বলেছেন। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেন, জাহাজ ডুবছে, এরা ইঁদুর। কোন ইঁদুর আগে বাঁচবে, তার যুদ্ধ চলছে।  মারপিট করছে, একে অন্যের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ‘বন্ধু দেখা হবে,’ শীলভদ্র দত্তের ফেসবুক পোস্টে জল্পনা। জল্পনা বাড়িয়ে গেরুয়া রঙে ফেসবুক পোস্ট তৃণমূল বিধায়কের। ‘বন্ধু বলতে পুরনো বন্ধুদের কথা বলতে চেয়েছি। জাতীয় পতাকাতেও তো আছে গেরুয়া, অসুবিধে কোথায়?’ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
শীলভদ্রকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। গতকাল তাঁর বাড়িতে গিয়েও দেখা পাননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার আগে প্রশান্ত কিশোরের দলের দুই সদস্যও শীলভদ্রের বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, পিকের টিমের সদস্যদের বদলে দলের কেউ এলে ভাল হত। ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তে তিনি এখনও অনড় বলে জানিয়েছেন শীলভদ্র।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোরের দলের হাতে দলের পরিচালনার ভার তুলে দেওয়ার ব্যাপারে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা-বিধায়কের গলায় অসন্তোষের সুর শোনা গিয়েছে। কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
শুভেন্দুর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা চলছে। তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও বিধায়ক হিসেবে ইস্তফা দেননি। মন্ত্রীপদে শুভেন্দুর ইস্তফার আগে প্রশান্ত কিশোর তাঁর কাঁথির বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে সেই সময় শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথা হয় প্রশান্তের।
এবার ব্যারাকপুরের দুবারের বিধায়কও বেসুরো গাইলেন। সাম্প্রতিক অতীতে দল নিয়ে অসন্তোষ একাধিকবার প্রকাশ করেছেন। আগামী বিধানসভায় তিনি আর লড়বেন না, এমন কথা বলতেও তাঁকে আগেই শোনা গিয়েছিল।
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram