Malda: মালদায় উদ্ধার 'অপহৃত' ১১ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য, গ্রেফতার ৩
অনাস্থার আগে বয়ান রেকর্ড ঘিরে রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী হল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর দুনম্বর ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সরকারি অফিস থেকে অপহরণ! অপহরণের পর ভিন রাজ্যে পাচারের চেষ্টা! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদকে কেন্দ্র করে উঠল এমনই সব অভিযোগ!
দৌলতনগর পঞ্চায়েতে দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূল সদস্যরা। মঙ্গলবার বয়ান রেকর্ড ও সই যাচাইয়ের জন্য ১১ জন তৃণমূল সদস্যকে বিডিও অফিসে ডাকা হয়। অভিযোগ, গান পয়েন্টে রেখে ১১ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে বিডিও অফিস থেকে অপহরণ করে প্রধানের লোকজন। তৃণমূল পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামীর মদতে হামলা চালানো হয়। বিডিও-র অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই দুই তৃণমূল সদস্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে বাকি ৯ সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ, বিহারের কাটিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁদের।
দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্ধার হওয়ার তৃণমূল সদস্য আবদুল গফফরের দাবি, ‘বিডিও অফিসে মিটিংরুমে ছিলাম। দেখি প্রচুর লোকজন জড়ো। আমাদের মারধর করে গাড়িতে তোলে। বিহারে নিয়ে চলে যায়। আবার মালদা নিয়ে আসে। আবার বিহারে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় পুলিশ উদ্ধার করেছে। আশরাফুলের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিল।’
উদ্ধার হওয়া অপর এক পঞ্চায়েত সদস্য কুলসুম বেগমের দাবি, ‘বাড়ি ফিরতে পারব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। আশরাফুলরা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এসব করিয়েছে।’
অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত গোষ্ঠী। তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী আশরাফুল হকের দাবি, ‘পঞ্চায়েত নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল। কেউ প্রধানকে আটকে রেখেছিল। কেউ মেম্বারদের আটকে রেখেছিল। আমার বউ সভাপতি। আমার এলাকায় ঘটনা বলে এই অভিযোগ করছেন অনেকে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
মালদার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্লক অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এক সপ্তাহের মধ্যে দৌলতনগর গ্রামপঞ্চায়েতে তলবি সভা ডাকা হবে।