কথিত আছে সন্ধ্যা প্রদীপ দেখাতে আসা এক গৃহবধূকে ভক্ষণ করেছিলেন মা দুর্গা।

এই বিশ্বাসেই আজও মা দুর্গাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বীরভূমের বানিওর গ্রামে।

প্রাচীন রীতির কোনও নড়চড় হয়নি তিন শতাধিক বছরের এই পুজোয়।

নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের বানিওর গ্রামে বসবাস করতেন জমিদার রত্নেশ্বর রায়চৌধুরী।

জানা যায়, দীর্ঘদিন নিঃসন্তান ছিলেন তিনি। এরপর তিনি মায়ের কাছে মানত করেন।

বিশ্বাস মা দুর্গার আশির্বাদে জমিদার রত্নেশ্বর রায়চৌধুরীর পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

এরে পরেই ১৭১৫ সালে বানিওর গ্রামে পুজো শুরু করেন তিনি।

প্রাচীন রীতি মেনে বোধন থেকেই মায়ের ঘট পুজো শুরু হয়ে যায়।

দশমীর দিন এখানে বির্সজন করা হয় না একাদশী দিন সকালে বির্সজন হয়।

রায়চৌধুরী পরিবার বংশধর পার্থ রায়চৌধুরী জানান, এখানে মা’কে পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

রীতি মেনেই একজন লোকও নিয়োগ করা হয়েছে মূর্তি বেঁধে রাখার কাজে। তাঁরাই বংশ পরম্পরা মা দুর্গাকে দড়ি বেঁধে রাখেন।