জায়গায় জায়গায় চুন-সুড়কির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে আবার কোনও দেওয়াল চলে গেছে বট অশ্বত্থের দখলে।
রাজ ঐতিহ্যের শেষ সলতে বলতে ভগ্নদশা মন্দির। যেখানে অধিষ্ঠান করেন রাজার কুলদেবতা লক্ষী নারায়ণ জিউ।
মন্দিরের ভিতরে দেওয়ালে টেরাকোটার কারুকার্য, দেওয়ালের পলেস্তেরা চারদিকে খসে পড়ছে।
রাজ পরিবারের মন্দিরের মূল ফটকও ভেঙে পড়ছে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে।
আর এই মন্দিরেই বর্তমানে শারদীয়ায় পুজিত হন পটেশ্বরী। পটের মধ্যেই মা দুর্গার ছবি।
প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর মায়ের অঙ্গরাগ হয়, অর্থাৎ নতুন করে পটে মা দুর্গার ছবি আঁকা হয়।
এখানে পটেশ্বরীকে মা চণ্ডী রূপে পুজো করা হয়। নয় দিনে চণ্ডীর নয় রূপে পুজো করা হয়।
প্রায় ৩০০-৩৫০ বছর আগে বর্ধমান মহারাজা মহতাব চাঁদ রাজবাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু করেন।
পুজোর জন্য মন্দিরও ছিল। বর্তমানে মন্দির ভেঙে যাওয়ায় রাজ কুলদেবতার মন্দিরেই পটেশ্বরীর পুজো হয়।
তবে সময়ের বদলানোর সাথে সাথে রাজপরিবারের পটেশ্বরী দুর্গা পুজোর জৌলুস কমেছে। কিন্তু কমেনি রাজ ঐতিহ্য, আচার ও রীতি-নীতি।