সর্দি-কাশির সমস্যায় মধু খুব ভালভাবে উপকার করে। বিশেষ করে কাশির সমস্যা কমায় মধু। এর পাশাপাশি গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধ থাকলেও তা দূর করে এই উপকরণ।

মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখে। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর হয়। সঠিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন আপনি।

যাঁদের সর্দি-কাশি অর্থাৎ ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁদের জন্য সাইট্রাস ফ্রুটস অর্থাৎ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উপকারি।

সাইট্রাস ফ্রুটসের তালিকায় রয়েছে লেবু, কমলালেবু এবং আঙুর জাতীয় ফল। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, নাক বন্ধ থাকার সমস্যা দূর করে। এছাড়া সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে।

কুমড়োর বীজ- এর মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। সাইনাস ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই দুই ধরনের উপকরণ।

কুমড়োর বীজের মধ্যে থাকা এই উপকরণগুলি সাইনাস ইনফেকশন দূর করার পাশাপাশি অ্যালার্জি এবং ন্যাজাল কনজেশন অর্থাৎ নাক বন্ধ থাকার সমস্যাও দূর করে।

আদা- এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। রান্নায় কিংবা বিভিন্ন পানীয় বিশেষ করে চায়ের মধ্যে আদা যোগ করা যায়। ঠান্ডা লেগে থাকলে, সর্দি-কাশিতে আদা মেশানো চা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

গলা ব্যথার ক্ষেত্রে আদা যেমন আরাম দেয়, তেমনই আমাদের শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে আদা। এছাড়াও সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে আদা।

হলুদের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। curcumin- এই উপকরণ রয়েছে হলুদের মধ্যে। সাইনাস ইনফেকশন দূর করতে কাজে লাগে এই উপকরণ।

এর পাশাপাশি হলুদ মেশানো বিভিন্ন পানীয় খেলে সহজে আপনার নাক বন্ধ থাকার সমস্যা দূর হবে। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি।