আপেল খেতে যে সবাই ভালবাসে এটা বোধহয় সর্বৈব সত্য নয়৷ অনেকেই আছেন যাঁরা আপেল দেখলেই নাক সিঁটকোন। খাওয়া তো দূর। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন করোনাকালে এই ফলই জীবনদায়ী ফলাফল দেবে আপনাকে। উপকারীতায় এর জুড়ি মেলা ভার।
নিউ ইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টারের নিউট্রিসনিস্ট জেসিকা লেভিংসনের কথায়, এই ফলের গুণাগুণ অনেক। স্ট্রোকের ঝুঁকি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি ও ক্যান্সার প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে এই ফলটির।
ভিটামিন সি, ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। তাই কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সময় এই ফল খাওয়া খুব উপকারী। আপেলের হাই ফাইবার, সহজে হজম হওয়ার ক্ষমতা, প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
হার্টের অসুখ এবং লিভারের অসুখ থেকেও আমাদের বাঁচানোর ক্ষমতা আছে আপেলের মধ্যে। ক্যালোরি কাউন্ট অত্যন্ত কম হওয়ায় ওজন কমানোর সহায়ক হিসেবেও কাজ করে আপেল।
প্রোটিন, পটাসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন বেশি মাত্রায় থাকে। লালের তুলনায় সবুজ আপেলে দ্বিগুণ বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। তবে লাল আপেলে কিন্তু সবুজের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
রোজ আপেল খেলে ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। পাশাপাশি নিয়মিত আপেল খেয়ে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমে যায়।
যাঁরা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তাঁরা যদি রোজ আপেলের রস খান তবে উপকার পাবেন।যাঁরা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তাঁরা যদি রোজ আপেলের রস খান তবে উপকার পাবেন।
মাইগ্রেন, মাথা ধরার মত নানা রোগ সেরে যায়। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের যে কোনও রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শরীরের নার্ভের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এই ভিটামিন। সব মিলিয়ে শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।
আপেলের মধ্যে রয়েছে বি কমপ্লেক্স ভিটামিন। এই ভিটামিনের কাজ হল শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা সৃষ্টি করা।