পেশিগুলির গঠন, ত্বককে সুস্থ রাখা, এনজাইম ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রোটিন একটি বিল্ডিং ব্লকের মতো কাজ করে।
বাড়ন্ত শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে প্রোটিনের অভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়
এক গবেষণা অনুসারে, পৃথিবীতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রোটিনের স্বল্পতায় ভোগেন।
দেখে নেওয়া যাক প্রোটিনের ঘাটতি হলে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
শরীরে প্রোটিন কম হলে মাংসপেশিগুলি অস্থি থেকে প্রোটিন শুষে নেয়। এতে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেও প্রভাব পড়ে। রোগ বার বার অসুস্থতা দেখা যায়।
প্রোটিন কম হলে মাংসপেশি দুর্বল হতে থাকে। ফলে মাংসপেশিতে ব্যথা-যন্ত্রণা শুরু হয়।
শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রোটিনের ঘাটতি প্রভাব ফেলে। প্রোটিন কম থাকলে শিশুর লম্বায় বেড়ে ওঠা থমকে যায়।ত্বক ও চেহারায় ফোলাভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পেটও ফুলতে পারে।
প্রোটিনে ঘাটতির প্রভাব প্রথমে পড়ে চুলে। চুল রুক্ষ্ম, নিষ্প্রাণ হয়ে পড়লে, বা খুব বেশি চুল পড়লে, তা প্রোটিনে ঘাটতির ইঙ্গিত হতে পারে।
প্রোটিনে ঘাটতি থাকলে ক্লান্ত অনুভূতি আসে। উদ্দীপনা কমে যাওয়ায় প্রোটিনের স্বল্পতার উপসর্গ হতে পারে।
শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ফলে নখে সংক্রমণ হতে শুরু করে এবং নখ ভেঙে যায়।প্রোটিন কম থাকলে নয়া কোষ গঠনে বিলম্ব হয়, ফলে কোনও কিছু সেরে ওঠার ক্ষেত্রে সময় লাগে।