সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম যে কোনও বয়সেই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম বা ব্রেন অ্য়ানিয়ারিজম। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহী নালি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফুলে ওঠে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট অংশটিতে রক্ত জমে যায়।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজমের কোনও লক্ষণ থাকে না। মস্তিষ্কের সামান্য অংশই শুরুতে আক্রান্ত হয়। তার ফলে প্রথম দিকে যন্ত্রণা টের পাওয়া যায় না। সেই কারণে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হতে পারে।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, কোকেনের মতো মাদকে আসক্তি, উচ্চ রক্তচাপ, প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা, বিপজ্জনক সংক্রমণ থেকে সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম হতে পারে।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম চিকিৎসকরা বলছেন, এক বা একাধিক নেশা, মাথা যন্ত্রণা বা সংক্রমণ থেকে সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম হতে পারে। ব্যক্তিবিশেষের উপর এটা নির্ভর করে। অনেক সময় আবার কোনওদিন নেশা করেননি এমন ব্যক্তিরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারও করতে হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগে।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম চিকিৎসকদের মতে, সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম ব্রেন হেমারেজও হতে পারে, যা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজমে আক্রান্তদের মধ্য়ে এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি হাসপাতালে পৌঁছতেই পারেন না, চিকিৎসা শুরু করার পরেও অবস্থার অবনতি হয় এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তির এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাবঅ্যারাকনয়েড হেমারেজে আক্রান্ত হলে অবিলম্বে আইসিইউ-তে ভর্তি করা দরকার। এন্ডোভ্যাসকুলার কয়েলিং বা সার্জিক্যাল ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়।
সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজম সেরিব্রাল অ্য়ানিয়ারিজমের চিকিৎসা সাধারণত খরচসাপেক্ষ। ভারতের মতো দেশের নাগরিকদের বড় অংশের পক্ষেই এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না।