পশ্চিমবঙ্গের জন্য স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি। প্রাক্তন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সেই জায়গায় আসছেন বিশিষ্ট প্রাক্তন আমলা তথা ম্যানেজমেন্ট গুরু ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস। এই মুহূর্তে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা আনন্দ। প্রশাসনিক আধিকারিক হওয়ার পাশাপাশি লেখক এবং সুবক্তা হিসেবেও নাম রয়েছে। ইংরেজি, মলয়ালি এবং হিন্দি ভাষায় উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা এবং প্রবন্ধ মিলিয়ে ৪০টি বই লিখেছেন। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রবেশনারি হিসেবে প্রথম চাকরিতে কলকাতাতেই কর্মজীবন শুরু। ভারত সরকারে সচিব, মুখ্য সচিব, জেলাশাসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদও অলঙ্কৃত করেছেন আনন্দ। রাষ্ট্রপুঞ্জের হ্যাবিট্যাট গভর্নিং কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন আনন্দ। জওহরলাল নেহরু ফেলোশিপের প্রাপক আনন্দ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মুসৌরিরও প্রথম সদস্য তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব, শিক্ষা, বন, পরিবেশ, শ্রম, প্রশাসনিক এবং রাজস্ব বোর্ডের প্রধান সচিব হিসেবেও কর্মরত ছিলেন দীর্ঘ দিন। দেশ-বিদেশ থেকে অংসখ্য সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে কেমন সমীকরণ হবে রাজ্য সরকারের?