আজকাল চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত, প্রায় সবাই অতিরিক্ত চুল পড়ার অভিযোগ করেন।
আপনার ত্বকের যেমন পুষ্টি ও আর্দ্রতার প্রয়োজন, তেমনই আপনার চুলেরও বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। জলশূন্যতা চুলের শক্তি ও উজ্জ্বলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
আপনার জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাস চুলের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানসিক চাপ, জাঙ্ক ফুড এবং অনিয়মিত ঘুম প্রায়শই চুল দুর্বল করে তোলে, যা ভেঙে যাওয়ার কারণ হয়।
বহু মানুষ জানতে চান, কম জল পান করলে কি চুল পড়ে? উত্তর হল হ্যাঁ। জলশূন্যতা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন শরীরের পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে সঞ্চালনের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যা চুলের ফলিকল দুর্বল করে এবং চুল পড়া ত্বরান্বিত করে।
যদি আপনি পর্যাপ্ত জল পান না করেন, তবে আপনার শরীর এবং মাথার ত্বক জলশূন্য হয়ে যায়। এটি আপনার চুলের আর্দ্রতা হ্রাস করে, যা চুলকে শুষ্ক, ভঙ্গুর এবং ভেঙে যাওয়ার প্রবণ করে তোলে।
সঠিক জল গ্রহণ স্বাস্থ্যকর রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করে, যা মাথার ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ করে। জল ছাড়া চুলের গোড়া শক্তিশালী থাকার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না।
আপনার চুলের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে আর্দ্রতা অপরিহার্য। জলশূন্যতা প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দূর করে এবং চুলকে ক্ষতির জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
যদি আপনি কম জল পান করা চালিয়ে যান, তবে আপনার চুল গোড়া থেকে দুর্বল হয়ে যায়, যা অবশেষে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং নতুন চুল গজানোর গতি কমিয়ে দেয়।
স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি আপনার মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং চুল পড়ার ঝুঁকি কমায়।