ফিটনেস রুটিনের অন্যতম কঠিন কাজ হল শরীরচর্চা নিয়মমাফিক মেনে চলা। শরীরচর্চার পর স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর এই সময়টাই গুরুত্বপূর্ণ।

শরীরচর্চার পর ক্লান্ত বোধ করলে, আরও বেশি করে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পেশির কাজ ঠিক রাখতে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া প্রয়োজন।

অনেকই শরীরচর্চার পর পুষ্টিকর খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে পুষ্টি উপাদান যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

প্রোটিন, ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি 12, নিয়াসিন, জিঙ্ক এবং আয়রন রয়েছে মাছ এবং মাংসে। হাড় ও পেশির শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই পুষ্টি উপাদানগুলি।

যাঁরা কিটো ডায়েট করেন এবং কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খান, তাঁরা অ্যাভোকাডো ডায়েটে যোগ করতে পারেন। এতে রয়েছে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা পেশির ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে।

উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ আছে বাদামে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে বাদাম। পাশাপাশি হাড় এবং পেশির শক্তি বৃদ্ধি, এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি, প্রোটিন শেক পান করা যায় শরীরচর্চার পর। বাজার থেকে কেনা প্রোটিন শেক পান করতে পারেন। অথবা বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় এই শেক।

শরীরচর্চার পর এক বাটি ফল খাওয়া যেতে পারে। যেমন স্ট্রবেরির মতো ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশির ব্যথা দূর করে।

বেশিরভাগ শাক-সবজিতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকে। বিপাকে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশির শক্তির বৃদ্ধি করে।