চিরকালই তিনি বাবার বেশী ঘনিষ্ঠ, এমনকি বাবা মারা যাওয়ার পরে তাঁর স্মৃতিতে হাতে ট্যাটুও করিয়েছিলেন এই বলি সুন্দরী। তিনি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, যাঁর কবজির ট্যাটুতে ঝলমল করে 'ড্যাডিজ লিটল গার্ল' অথচ ছোটবেলায়, বাবা আকাশ চোপড়াই কড়া শাসনে রাখতেন প্রিয়ঙ্কাকে, তাঁর জন্য বাড়ির জানলায় বসিয়েছিলেন লোহার গরাদও! প্রিয়ঙ্কা আমেরিকায় পড়াশোনার করতে গিয়েছিলেন, যখন তিনি ফিরে আসেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬। তরুণী প্রিয়ঙ্কার অনুরাগীর সংখ্যা কম ছিল না। তাঁকে রাস্তাঘাটে অনুসরণ করত অনেক তরুণই। একবার মধ্যরাতে, প্রিয়ঙ্কার ঘরের ব্যালকনিতে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন এক অচেনা তরুণ। ভয়ে বাবার কাছে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ঘটনার কথা জানতে পেরেই জানলা দরজায় লোহার গরাদ লাগিয়ে দেন আকাশ চোপড়া, বন্ধ হয় প্রিয়ঙ্কার একা বাড়ির বাইরে যাওয়াও। অভিনেত্রীকে ঢিলেঢালা ও ভারতীয় পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাবা, নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল জিনস পরার ওপরেও। ঢিলেঢালা পোশাক সংগ্রহে না থাকায় একাধিকবার বাবার শার্টও পরেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। চালকের সঙ্গে বাড়ির গাড়িতে করে সমস্ত জায়গায় যেতে হত প্রিয়ঙ্কাকে।