সহোদর দিবস আজ সহোদর দিবস। প্রতি বছর ১০ এপ্রিল দিনটি পালিত হয়। ভাই-বোনের সঙ্গে যতই ঝগড়া-মারামারি হোক না, ভালবাসাও থাকে। আজ সেই ভালবাসা উদযাপনের দিন।

সহোদর দিবস ভাই-বোন জীবনের অন্যতম অঙ্গ। যাঁদের নিজেদের ভাই বা বোন আছে, তাঁরা বেশিরভাগ জিনিসই একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেন। যাঁদের নিজেদের ভাই বা বোন নেই, তাঁদেরও তুতো ভাই বা বোনের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকতে পারে। অনেক বন্ধুর সঙ্গেও ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক হয়ে যায়।

সহোদর দিবস ছোটবেলা থেকেই আমরা ভাই-বোনের সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে পারি। রোজকার জীবনে তো বটেই, উৎসবের সময়, বিপদ-আপদের সময় ভাই-বোনের গুরুত্ব বেশি করে বোঝা যায়।

সহোদর দিবস সহোদর দিবস ভাই-বোনের প্রতি ভালবাসা জানানোর দিন। সবসময় পাশে থাকা, সবক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য ভাই বা বোনকে আজ বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো যেতে পারে।

সহোদর দিবস ভাই বা বোন প্রতিদিনই কোনও না কোনওভাবে আমাদের পাশে থাকেন, কিন্তু তাতেও আজকের দিনটির আলাদা গুরুত্ব আছে। আজ পাশে থাকার জন্য ভাই-বোনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন।

সহোদর দিবস ক্লদিয়া ইভার্ট নামে এক মহিলা অল্পবয়সে ভাই-বোনকে হারানোর পর তাঁদের স্মৃতিতে এই দিনটি পালন করার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৫ সাল থেকে দিনটি পালন করা হচ্ছে। ক্লদিয়ার বোন লিজেটির জন্মদিন ১০ এপ্রিল। সেই কারণেই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।

সহোদর দিবস ১৯৯৫ সালেই সিবলিংস ডে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন ক্লদিয়া। যে ভাই-বোনেরা ভৌগলিক দূরত্ব, বিভিন্ন পরিস্থিতি, পারিবারিক বা অন্যান্য কারণে আলাদা হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ফের যোগাযোগ স্থাপন করিয়ে দেওয়ার কাজ চালায় ক্লদিয়ার সংস্থা।

সহোদর দিবস ভারতে রাখি, ভাইফোঁটার মতো উৎসবগুলি রয়েছে। এই দিনগুলিতে ভাই-বোনের সম্পর্ক বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। এরই পাশাপাশি আজ পালিত হচ্ছে সহোদর দিবস।

সহোদর দিবস আজকের দিনে অন্তত ভাই-বোনের সঙ্গে ঝগড়া না করাই ভাল। তার চেয়ে একসঙ্গে সারাদিন কাটানো, খাওয়া, গল্প করা ভাল। তাতে দিন ভাল কাটবে।

সহোদর দিবস আজ ভাই বা বোনের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন, একসঙ্গে সিনেমা দেখতে পারেন, উপহারও দিতে পারেন।