হস্তশিল্প থেকে লোকসঙ্গীত, চিত্রশিল্প থেকে সাহিত্য- বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের নিজস্বতার ছাপ রয়েছে। নানা ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে UNESCO. ভারতের কোন কোন শহর রয়েছে এই তালিকায়?

কেরলের উত্তরের দিকের শহর কোঝিকোড় এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সাহিত্যের জন্য জায়গা পেয়েছে এই শহর।

এই শহরে পাঁচশোরও বেশি লাইব্রেরি হয়েছে। ৫০টিরও বেশি প্রকাশক সংস্থার অফিস এই শহরে। কেরলের বার্ষিক সাহিত্য উৎসব হয় এই শহরে।

গ্বালিয়রও জায়গা পেয়েছে এই তালিকায়। সঙ্গীতজ্ঞ বৈজু বাওরা, তানসেনের সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের।

শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং গুরু-শিষ্য পরম্পরার বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের সঙ্গে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম পীঠস্থান এই শহর।

উত্তরপ্রদেশের বারাণসী অন্যতম প্রাচীন শহর। ভারতের ইতিহাসের মাইলফলক এই শহর।

একাধিক গঙ্গাঘাট, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং আরও অজস্র মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই শহরে। এই শহর সঙ্গীতেরও পীঠস্থান।

কাশ্মীর সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে হট ফেভারিট ডেস্টিনেশন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে খাবার-শিল্প সবকিছুতেই নিজস্বতা রয়েছে কাশ্মীরের শ্রীনগরের।

হস্তশিল্প এবং লোকসঙ্গীতের ক্ষেত্রে এই শহরকে UCCN তালিকায় আনা হয়েছে।

ভারতের অন্যতম পর্যটন স্থল জয়পুর। গোটা রাজস্থানেই ভারত তো বটেই, সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা আসেন। তার মধ্যেই রয়েছে জয়পুর শহর।

শিল্পকলা, চিত্রকলা, ভাস্কর্য্য, গয়না শিল্প-সবকিছুতেই রয়েছে জয়পুরের নিজস্বতা। এখানেই নয় জয়পুর ইন্টারন্যাশনাল হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল।

দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। তারই রাজধানী চেন্নাই জায়গা পেয়েছে UNESCO ক্রিয়েটিভ সিটি নেটওয়ার্কে।

দক্ষিণ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পীঠস্থান চেন্নাই।