ঘুমের সমস্যা অনিদ্রা, ঘুমের মধ্যে টানা পা চালানো, নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যাগুলি অনেকেরই হয়। ঠিকমতো ঘুম না হলে নানারকম সমস্যা হয়। তাই ঘুমের সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত।

ঘুমের সমস্যা যদি কোনও ব্যক্তির রাতে ঘুম না আসে, রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের পরেও সারাদিন ক্লান্ত ভাব থাকে, কাজ করার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে।

ঘুমের সমস্যা সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ভাল ঘুম না হলে ব্যক্তিগত জীবন, কাজকর্ম, স্বাস্থ্য, এমনকী সুরক্ষার উপরেও প্রভাব পড়ে।

ঘুমের সমস্যা ঘুমে বিঘ্ন ঘটার ৮০ রকম ধরন আছে। অনিদ্রা, নিদ্রাহীনতা, ঘুমের মধ্যে পা চালানো, মাঝেমধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়া একেকটি ধরন।

ঘুমের সমস্যা চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের রোজ অন্তত ৭ ঘণ্টা থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। কিন্তু এখন জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ায় অনেকেই রাতে পর্যাপ্ত সময় ঘুমোতে পারেন না। ফলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

ঘুমের সমস্যা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ভালভাবে কাজ করে না। ফলে বাচ্চারা ভালভাবে পড়াশোনা শিখতে পারে না, বয়স্করা অনেককিছু ভুলে যান, ব্যক্তিত্ব বদলে যায়, এমনকী অবসাদও হতে পারে।

ঘুমের সমস্যা গবেষকদের মতে, পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে সবারই ঘুমের সমস্যা হলেও, দিনের বেলা বেশি ঘুম পায় মহিলাদের।

ঘুমের সমস্যা শারীরিক পরিশ্রম না হওয়া বা কম হওয়া, হাঁপানি, অবসাদ বা উদ্বেগ, নেশা, রাত জাগার অভ্যাস, জিনগত প্রভাব, ওষুধের প্রভাব সহ নানা কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

ঘুমের সমস্যা গাড়ি চালানোর সময় ঘুম পাওয়া, টিভি দেখার সময় বা বই পড়ার সময় ঘুম পাওয়া, কাজে বা পড়ায় মনোযোগের অভাব, স্মৃতিভ্রংশ হওয়া, আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা ঘুমের সমস্যার লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ঘুমের সমস্যা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে জীবনযাত্রায় বদল আনা, ওষুধ, রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমনোর চেষ্টা করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, আরামদায়ক তাপমাত্রায় ঘুমনোর চেষ্টা করার মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা যেতে পারে।