বিশ্ব রেডক্রস দিবস আজ, ৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে রেডক্রস দিবস। প্রতি বছরের ৮ মে দিনটি পালন করা হয়। ১৮২৮ সালের ৮ মে জন্ম হয় আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুরান্টের। তিনিই প্রথম নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই ৮ মে দিনটি বিশ্ব রেডক্রস দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস বিশ্বজুড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মানুষকে সাহায্য করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিশু ও মহিলাদের সবরকমভাবে সাহায্য করা, সঙ্কটের সময় পানীয় জল, খাবার পৌঁছে দেওয়া সহ নানা কাজ করেন রেডক্রসের সদস্যরা।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস এ বছর বিশ্ব রেডক্রস দিবসের থিম হল ‘মানুষের মতো আচরণ করুন’। এই থিমকে সামনে রেখেই আজ বিশ্বজুড়ে রেডক্রসের সদস্যরা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। শ্রীলঙ্কায় আর্থিক সঙ্কট চরমে। বিশ্বের আরও অনেক দেশেই নানা সমস্যা রয়েছে। এই দেশগুলির মানুষকে সাহায্য করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রেডক্রসের সদস্যরা।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রেডক্রসের বড় ভূমিকা ছিল। রেডক্রসের ১৪ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করা হয়। ১৯৩৪ সালে এই কমিটি রিপোর্ট পেশ করে। রেডক্রসের ১৫ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই রিপোর্ট গৃহীত হয়। বিশ্বজুড়ে এই রিপোর্টের সুপারিশগুলি কার্যকর করার কথা বলা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে বেঁধে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর রেডক্রস কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর হয়। ১৯৪৮ সালের ৮ মে রেডক্রস দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস রেডক্রস দিবসে বিশ্বজুড়ে এই সংগঠনের কাজকর্ম, নীতি-আদর্শের বিষয়ে প্রচার করা হয়। সঙ্কটের মুহূর্তে পাশে থাকার জন্য সারা বিশ্বের মানুষ রেডক্রসের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস রেডক্রসের সদস্যরা সাতটি নীতি মেনে চলেন। এগুলি হল মানবিকতা, পক্ষপাতহীন আচরণ, স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাশ্রম, ঐক্য ও সার্বিকতা।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস করোনা আবহে বিশ্বজুড়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন রেডক্রসের সদস্যরা। করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, করোনায় মৃতদের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা সহ নানা কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিশ্ব রেডক্রস দিবস কেনিয়ায় রেডক্রস দিবস উপলক্ষে আজ একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়। রেডক্রসের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় তরুণরাও এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন। এই ম্যাচ ঘিরে স্থানীয়দের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।