মুম্বই : বাসমতি চাল (Basmati Rice) রফতানিতে (Export) ধাক্কা খেল ভারত। গত চার বছরের মধ্যে ২০২১ সালে সবথেকে কম রফতানির পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। কারণ, ক্রয় কমিয়েছে এক নম্বর ক্রেতা-দেশ ইরান। সরকার ও শিল্প কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, রুপির মজুত হ্রাসের পর এই চাল কেনা কমিয়ে দিয়েছে ইরান। তাই এই অবস্থা।


সুগন্ধি বাসমতি চাল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মূলত, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে এই চালের চাষ হয়ে থাকে বেশি। বিশ্বের বাজারে সবথেকে বেশি বাসমতি চালের রফতানিও করে ভারত। এই চাল কেনায় যেসব দেশ রয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ইরান। কিন্তু, ২০২১ সাল থেকেই এর রফতানি ২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষ টনে। যা ২০১৭ সালের পর সবথেকে কম। সরকারি নথি থেকে এমনই জানা গেছে। 


ওই নথি অনুযায়ী, ইরানে ভারতের বাসমতি চালের রফতানি গত বছর থেকে কমেছে ২৬ শতাংশ। যা দাঁড়িয়েছে ৮৩৪, ৪৫৮ টনে। বিশ্বের বাজারের সঙ্গে যুক্ত মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী জানান, গত বছরে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির কাছে রুপির মজুত কমে যাওয়ার পর ইরান কয়েক মাস ধরে বাজারে সক্রিয় ছিল না।


ইরানের সঙ্গে রুপির বিনিময়ে ভারতের কাছে তেল বিক্রির চুক্তি হয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা কৃষিপণ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি করত। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাসে তেহরানের তেল কেনা বন্ধ করে দেয় নয়া দিল্লি। তেহরান তার রুপি ব্যবহার করে ভারতের কাছ থেকে পণ্য কিনতে থাকে, কিন্তু অপরিশোধিত তেল বিক্রি ছাড়াই। যা ইরানের রুপির মজুত কমিয়ে আনে।


এদিকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে রফতানিতে মন্দা দেখা দিলেও, গত দুই-তিন মাসে ইরান, সৌদি আরব ও অন্যান্য প্রধান ক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা বেচা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইআরইএ) প্রাক্তন সভাপতি বিজয় সেটিয়া।


উল্লেখ্য, ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ, প্রধানত আফ্রিকান দেশগুলিতে অ-বাসমতি চাল এবং মধ্য প্রাচ্যে প্রিমিয়ার বাসমতি চাল রফতানি করে।