গুয়াহাটি : নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণা রুখতে অভিনব পদক্ষেপের উদ্যোগ অসমে। এই মর্মে সোমবার অসম বিধানসভায় সোমবার একটি বিল পাস হয়। যাতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় কেউ অসাধু উপায় অবলম্বন করলে তাঁকে ১০ বছর জেল খাটতে হবে এবং এর পাশাপাশি ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে ধ্বনি ভোটে পাস হয় এই The Assam Public Examination Bill, 2024 । এই বিল পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। 


এই বিল অনুযায়ী, সরকার পরীক্ষার্থী-সহ এমন কোনও ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে পারবে, যে ব্যক্তি পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করবে বা প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে প্রশ্নপত্র লিক, বিক্রি, প্রিন্ট বা সমাধান করে কোনও পরীক্ষার্থীকে সাহায্য করবে বা নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে দেবে কারও হয়ে। বিলে বলা হয়েছে, 'এই কাজে অভিযুক্ত ব্যক্তির ন্যূনতম ৫ বছরের জেল হতে পারে। যা ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। যা ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড হবে।' 


এছাড়া, যে পরীক্ষার্থী অসাধু উপায় অবলম্বন করবে, তার তিন বছর পর্যন্ত জেল ও ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে । জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও নয় মাস জেল হতে পারে। বিলে এই অপরাধকে বিচারযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং অ-আদায়যোগ্য করে তুলেছে এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার বা তাঁর উপরের কোনও অফিসার তদন্ত করতে পারেন।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা কোনও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক, বোর্ড বা কর্পোরেশন বা সরকারি কোনও পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করা বা প্রশ্নপত্র ফাঁস রোখার লক্ষ্যে এই বিল। 


বিধানসভায় Assam State School Education Board Bill, 2024-ও পাস হয়েছে। যার মাধ্যমে রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন বডি গঠন করা হবে। নতুন এই বডি শুধুমাত্র পরীক্ষা নেওয়া ও শংসাপত্র দেওয়ার কাজ করবে বলে জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রানোজ পেগু।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে