কলকাতা: পৃথিবী জুড়ে এক পরিচিত নাম বাবা ভাঙা৷ যার করা ভবিষ্যদ্বাণী আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা দুনিয়া৷ ২৬ বছরের আগের করা তাঁর একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাচ্ছে বছরের পর বছর৷ আসন্ন ২০২৩ সালে নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন তিনি৷ তা নিয়ে বছর শেষে জোরদার চলছে চর্চা৷


২৬ বছর অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে তিনি মারা গিয়েছেন৷ সেই সময় আগামি দিনে কী কী হতে পারে, সেই সব নিজের মুখে বলে গিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর করে যাওয়া এই ভবিষ্যতবাণীগুলি বছরের পর বছর মিলে যাচ্ছে৷ এমনটাই দাবি একাধিক মহলের৷ বাবা ভাঙা ছিলেন বুলগেরিয়ার রহস্যময় ও আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি৷ বাবা ভাঙা ২০২৩ সাল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন৷ 


জৈব অস্ত্র থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ নিয়ে নতুন বছরের জন্য পূর্বাভাস রয়েছে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে৷ নতুন বছরে বিশ্ববাসীর জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে বা কী উপহার পেতে চলেছেন মানুষ, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছেন সবাই৷ আগামী বছরের জন্য নতুন আশা ও ভরসার জন্য প্রার্থনা করছেন৷ কিন্তু বাবা ভাঙা যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তাতে ২০২৩ সম্পর্কে ভালও কিছু অপেক্ষা করে থাকছে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷


তিনি বলেছিলেন, আগামী বছর ভয়ংকর এক সৌরঝড়ের আশঙ্কা আছে যা পৃথিবীর অভিকর্ষের বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। ২০২৩-এ পৃথিবীর উপর এলিয়েন বা ভিন গ্রহের জীবের হামলা করতে পারে। তার ফলে সমগ্র পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যেতে পারে এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আবার, এই বছর নাকি ল্যাবরেটরিতেই মানবশিশুর জন্ম হবে। আর সন্তানের গায়ের রং, লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারবে বাবা-মা৷ ট্র্যাজেডিতে পূর্ণ হবে এই বছর। 


একাধিক মহলের দাবি, ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারের পরিণতির কথা বাবা ভাঙা বলে গিয়েছেন৷ যা মিলে গিয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন ও ২০০৪ সালের সুনামির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন গত শতকের পঞ্চাশের দশকে৷ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হবেন একজন আফ্রিকান-অ্যামেরিকান৷ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সেটাও মিলে গিয়েছে৷ এছাড়াও ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের উপকূলে বিরাট বিপর্যয় হবে। সে বছর অবশ্য সুনামি হয়েছিল। 


২০১৮ সালে চিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারপাওয়ারে পরিণত হবে৷ এছাড়া ২০১৯ সালে এক ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস করবে গোটা বিশ্বকে৷ ঠিক সেই মতো করোনা ভাইরাস গ্রাস করেছিল গোটা বিশ্বকে৷ ডেলি মেইল ​ইউকে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা ভঙ্গ, লেখক ভ্যালেন্টিন সিডোরভকে বলেছিলেন, ‘‘রাশিয়া হয়ে উঠবে বিশ্বের চালক। ইউরোপ এক ধ্বংসস্তূপ হয়ে উঠবে। রাশিয়াকে কেউ আটকাতে পারবে না৷’’