রামভক্ত হনুমানের পুজো করলে বহু নেতিবাচক শক্তি থেকে রেহাই মেলে, এই বিশ্বাস বহু ভক্তেরই। বাস্তু নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরাও মনে করেন, জটিল বাস্তুদোষও কেটে যেতে পারে  পবন-তনয় সঙ্কটমোচনের আশীর্বাদে। মঙ্গলবার হনুমান পুজোর দিন। তাই সোমবার থেকেই প্রস্তুতি নিন কীভাবে হনুমানজীর আশীর্বাদ পেয়ে মুক্তি পাবেন বাস্তু দোষ থেকে।  


হঠাৎ বাড়িতে একের পর এক সমস্যা? একটা যায় তো আরেকটা আসে? তাহলে হতে পারে আপনার বাড়ির বাস্তুতে কোনও সমস্যা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে বড়সড় খরচ করে যাগযজ্ঞ করে ফেলার আগে হনুমানজীর শরণ নিন। হয়ত সমস্যা থেকে সুরাহা মিলতে পারে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সমস্যাগুলি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে যান সাধ্য মতো। যেমন শরীর খারাপ হলে , চিকিৎসা করান। চাকরির সমস্যা হলে, নির্দিষ্ট নিয়মে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। নতুন চাকরি খোঁজার পদ্ধতি চালিয়ে যান। 


হনুমান জির ছবি  ঘরের সমস্ত বাস্তু দোষ দূর করে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। বাস্তু অনুসারে, হনুমানজির একটি বিশেষ ছবি রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে।  নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয়। 



  • বাস্তুশাস্ত্রে, হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি, সব সমস্যা নাশ করে।  বাস্তু অনুসারে, যে বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি স্থাপিত হয়, সেই বাড়িতে কখনও কোনও ঝামেলা হয় না। এলেও তা হনুমানজি-ই রুখে দেন।

  • পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি পরিবারকে সব ধরনের ঝামেলা থেকে রক্ষা করে। মঙ্গলবার হনুমানজির পুজোর দিন। এদিন বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি লাগাতে হবে। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের উপর হনুমানজির আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। হনুমানজিকে কঠিন সমস্যার সমাধানকারী বলা হয়। বিশেষত তাঁর এই ধরনের ছবি জীবনের সমস্ত অসুবিধা দূর করে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।

  • পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। হনুমানজির এই ছবির পাঁচটি মুখের আলাদা অর্থ রয়েছে। এই ছবিতে হনুমানজির মুখ রয়েছএ পাঁচটি ভিন্ন দিকে। তাই তিনি সব দিক থেকে আসা নেগেটিভিটিই দূর করেন।

  • বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির এই ছবি স্থাপন করা সবচেয়ে শুভ। মূল দরজায় এই ছবি রাখলে কোনও অশুভ শক্তি ঘরে ঢুকতে বাধা পায়। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয়। 

    ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।