রাহু-কেতুর বললেই একটা আতঙ্ক গ্রাস করে। এই দুটি গ্রহকেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর বলে মনে করা হয়। আদতে রাহু ও কেতুকে ছায়া গ্রহ বলা হয়। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে কেতুকে অধরা এবং কর্মের ফল প্রদানকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যখন এই গ্রহ তার নক্ষত্র পরিবর্তন করে, তখন এটি কোনও না কোনওভাবে ১২টি রাশির উপরই প্রভাব ফেলে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে , ২০২৬ সালে কেতুর গোচর তিনটি রাশির জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।
কেতুর প্রভাবে তিন রাশির জীবনে আয়ের নতুন উৎস খোলা হবে। আর্থিক লাভের সম্ভাবনা বেশি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ভাগ্যবান রাশিগুলি সম্পর্কে, ২০২৬ সাল থেকে ৩টি রাশির ভাগ্য বদলে যাবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ৬ জুলাই থেকে কেতু পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রে প্রবেশ করেছেন। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, কেতু ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রে অবস্থান করবেন। এই সময়কালে, কিছু রাশির জাতক জাতিকাদের কেরিয়ার, অর্থ এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কন্যা রাশিজ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কেতুর এই গোচর কন্যা রাশির জাতকদের জন্য লাভ এবং অগ্রগতির অনেক দরজা খুলে দিতে পারে। তাদের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে এবং তারা মুলতুবি থাকা তহবিল পেতে পারেন। ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ সম্ভব, যা লাভজনক হবে।
তুলা রাশিজ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ২০২৫ সালে কেতুর এই গোচর ক্যারিয়ারে উন্নতি এবং আর্থিক লাভ বয়ে আনবে। শুক্র রাশিতে কেতুর এই গতি তুলা রাশির জাতকদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করা হয়। কর্মক্ষেত্রে নতুন সাফল্য এবং উন্নতির সুযোগ সম্ভব। আয়ের নতুন উৎস উন্মোচিত হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি পাবে। বিবাহিত জীবনে সম্প্রীতি এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
মকর রাশিজ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই সময়টি মকর রাশির জাতকদের জন্য বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়। কোনও নতুন প্রকল্প বা বিনিয়োগ ইতিবাচক ফলাফল দিতে পারে। ব্যবসায়িক অবস্থান শক্তিশালী হবে। অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। স্ত্রীর কাছ থেকে সহায়তা বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক সম্মান এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে।
ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।