কলকাতা: বছরের প্রতিটি মাসে শিবরাত্রি আসে। তারমধ্যে মহাশিবরাত্রি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশজুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে মহাশিবরাত্রি। চলতি বছরে পয়লা মার্চে পড়েছে মহাশিবরাত্রি। দেবাদিদেবের পুজো ঘিরে ভক্তদের মধ্যে চরমে উৎসাহ।


দেবাদিদেব মহাদেবের অন্য একটি নাম রুদ্র। শিবের ক্রুদ্ধ রূপের নামই রুদ্ধ। মহাশিবরাত্রিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পুজোর নাম রুদ্রাভিষেক পুজো। মনস্কামনা পূরণের জন্য শিবভক্তরা এই দিন বিশেষ পুজো উপাচার মেনে রুদ্রাভিষেক পুজো করে থাকেন।


রুদ্রাভিষেক পুজো কী?
শিবপুজোর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল রুদ্রাভিষেক পুজো। বিশেষ মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে শিবলিঙ্গ স্নান করানো হয়। ফুল এবং আরও একাধিক উপাচার দিয়ে রুদ্রাভিষেক পুজো হয়ে থাকে। 


কী কী উপাচার?
মহাদেবের পছন্দের ফুল, ঘি, দই, মধু, দুধ, গোলাপজল, গঙ্গাজল, কর্পূর, বেলপাতা, পবিত্র ছাই


বিদ্যা অর্জন করতে, বাধা দূর করতে, মোক্ষ পাওয়ার জন্য, রোগ দূর করতে, শত্রু দমনের জন্য এবং আরও নানা কারণে রুদ্রাভিষেক করা হয়ে থাকে। তবে শিবের রুদ্রাভিষেক পুজো যেকোনও সময়ে করা যায় না। বিশেষ বিশেষ তিথিতে এই পুজো করা যায়। কোনও মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া এবং নবমীতে রুদ্রাভিষেক করা যায়। শুক্লপক্ষেরই পঞ্চমী ও দ্বাদশী তিথিতে এই পুজো করা যায়। কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদা, চতুর্থ ও একাদশীতে রুদ্রাভিষেক করা যায়। এছাড়াও আরও কিছু কিছু পবিত্র তিথিতে এই পুজো করা যায়। কিন্তু বেশ কিছু তিথি রয়েছে যে সময় রুদ্রাভিষেক করা উচিত নয়। তবে জ্যোতির্লিঙ্গের ক্ষেত্রে এবং সিদ্ধ পীঠের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিচারের মধ্যে আসে না।

আরও পড়ুন: কদিন পরেই মহাশিবরাত্রি, তার আগে নজর বেশ কিছু অজানা তথ্যে