Ram Navami 2024 : এ বছর সবার জন্য দ্বার খুলে গিয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। তাই এবার রাম নবমী ঘিরে বাড়তি উৎসাহ মানুষের মধ্যে। আগামী এপ্রিলেই রাম নবমী। এদিন ভগবান রামের জন্মদিন ঘিরে মেতে ওঠে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। এবছর রাম নবমী পড়েছে  ১৭ এপ্রিল।  অধর্মের নাশ করে, ধর্ম প্রতিষ্ঠার প্রার্থনা নিয়ে এদিন শ্রীরামের পুজো করেন ভক্তরা। 


বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন দশরথ-নন্দন শ্রী রাম। তিনি ভগবান বিষ্ণুর মানব অবতার। এ বছর রাম নবমীতে দিনব্যাপী রবি যোগ থাকবে। এই যোগে পুজো বা নতুন কোনও কাজ শুরু করলে তা সিদ্ধ হবে বলে মনে করা হয়। 


জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এবার শ্রী রাম নবমীতে কয়েকটি রাশির জাতকরা ভগবান রামের পুজো করলে বিশেষ আশীর্বাদ পাবেন। এবার রাম নবমীতে কয়েকটি রাশির জাতক জাতিকাদের গ্রহ নক্ষত্র থাকবে অনুকূলে। 


জ্যোতিষশাস্ত্রে, মীন রাশিকে শ্রী রামের সবচেয়ে প্রিয় রাশি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মীন রাশির শাসক গ্রহ হল বৃহস্পতি। এই গ্রহ শ্রী বিষ্ণুর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। শ্রী রামের কৃপা মীন রাশির জাতকদের উপর বর্ষিত হয়। তাই রাম নবমী পালনে মীন রাশির জাতক জাতিকারা  জীবনে সম্পদ ও সমৃদ্ধি লাভ করে। 


শাস্ত্র অনুসারে, শ্রী রাম কর্কট রাশির জাতকদের প্রতিও সদা সদয় হন। রাম নবমীতে রামলালাকে ক্ষীর  নিবেদন করুন। এতে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হবে বলে বিশ্বাস । সমাজে সম্মানও বাড়বে। লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। ভাল কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হবেন। 


ভগবান রামের প্রিয় রাশিচক্রের আর একটি হল বৃষ রাশি। এই রাশির জাতকদের রাম নবমীতে রামাষ্টক পাঠ করা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে  কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার শক্তি দেয় এই পাঠ। সেই সঙ্গে সব সঙ্কটের মেঘও কেটে যায়। 


তুলা রাশির লোকেরাও রঘুপতির প্রিয় বলে বিবেচিত হয়। শ্রী রামের কৃপায়, তারা সাহসের সাথে প্রতিটি সমস্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। শ্রী রামকে স্মরণ করলে হনুমানজির আশীর্বাদ থাকে। রাম নবমীতে, রামলালাকে হলুদ কাপড় এবং নারকেল নিবেদন করুন। এর ফলে আর্থিক ও শারীরিক সমস্যার অবসান হয়। আর ভগবান রামকে পুজো করলে যেমন বজরঙ্গবলী তুষ্ট হন, তেমনই হনুমান পুজোতে তুষ্ট হন রামও। 


আরও পড়ুন : এবার হনুমান জয়ন্তী মঙ্গলবার ! তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত শুভ যোগ, জানুন দিনক্ষণ


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।