জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে, শনিদেব কর্মের ভিত্তিতে ফল দেন। শনি কুম্ভ রাশিতে অস্তমিত হবে এবং কিছু রাশিচক্রের জন্য এই পরিবর্তন সমস্যা বৃদ্ধি করবে। জেনে নিন কোন রাশির জাতকদের সাবধান হওয়া দরকার। শনিকে কেউ কেউ অতি নিষ্ঠুর মনে করেন। শনিদেবতা গ্রহকূলে বিচারক গ্রহের মর্যাদা পেয়েছেন। শনি মানুষকে তাদের কর্ম অনুসারে ভাল বা খারাপ ফল দেন। শনি বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে। তবে এ বছর শনির গতিবিধিতে পরিবর্তন আসবে। ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে শনি অস্ত যাবে এবং ১৮ মার্চ পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকবে। শনির অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু রাশির প্রতিকূল সময় শুরু হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক শনির অস্ত যাওয়ার কারণে কোন রাশির জাতকদের সমস্যা হতে চলেছে। 


মকর রাশি


মকর রাশির জাতক জাতিকাদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। এঁদের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। চাকরি বা ব্যবসায় সাফল্য পাবেন না কিছুতেই। শনির নেতিবাচক প্রভাবের কারণে মকর রাশির জাতকদের আর্থিক অবস্থা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শীঘ্রই আসবে ভাল দিন। শনি অস্ত গেলে মকর রাশির জাতকদের সমস্যা বাড়াবে। শনি সাড়ে সাতি থাকার জন্য শনির অস্তমিত দশা এঁদের জন্য আরও বেদনাদায়ক হতে চলেছে। কর্মজীবনে অনেক উত্থান-পতনের মুখোমুখি হতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের।


কর্কট রাশি


কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য শনির অস্তমিত দশা খুব কঠিন হতে পারে। জ্যোতিষচর্চা করেন যাঁরা, তাঁদের অনেকের মতে, শনি এই রাশির জাতকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দিতে চলেছে। শনির অশুভ প্রভাবের কারণে প্রতিটি কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হতে পারে। কারো কারো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। 


কুম্ভ রাশি


কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য বর্তমানে শনির সাড়ে সাতি দশা চলছে। কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে শনির এই অবস্থায়। কর্মজীবন এবং অর্থের দিক থেকে এঁদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগের শিকার হতে পারেন। অস্তমিত পর্যায়ে, শনি কুম্ভ রাশির জাতকদের অনেক ঝামেলায় ফেলতে চলেছে। চাকরি ও ব্যবসায় ক্রমাগত ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হবে। অফিসে আপনার দক্ষতা প্রভাবিত হতে পারে। এর জন্য এঁদের অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হতে পারে।  


ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।