কলকাতা: গ্রহরাজ শনিদেব (Saturn)। কথিত আছে তাঁর রোষে যেমন তোলপাড় হয়ে যেতে পারে সব। আবার তাঁর কৃপাদৃষ্টি কার্যত বদলে দিতে পারে যে কোনও মানুষের জীবন। যে সব জাতক-জাতিকাদের ওপর শনিদেবের আশীর্বাদ রয়েছে, তাঁদের জীবনের সমস্ত বাধা কাটিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছনো শুধু সময়ের অপেক্ষা। শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে তিনি সবার কাজের হিসাব রাখেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কর্মফল দেখেই নাকি মানুষের ওপর প্রভাব ফেলেন শনিদেব।


সমস্ত গ্রহের মধ্যে শনি সবচেয়ে ধীর গতিশীল গ্রহ। আর এই ধীর গতির কারণে শুভ এবং অশুভ উভয় প্রভাবই মানুষের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে খুব ধীর গতিতে হলেও কর্মের ঠিক ফল দেন তিনি। তাই বারবার বলা হয়ে থাকে কর্মফলে নজর দিতে। যাঁর কর্মফল যত ভাল তাঁর জীবনে শনিদেবের আশির্বাদ নাকি ততই বেশি। অনেকেই ভয় পেয়ে থাকেন তাঁকে। তবে তাঁকে সন্তুষ্ট করার পন্থা জানা থাকলে জীবন থেকে দূর হতে পারে যাবতীয় অশান্তি, বাধা, বিপত্তি। 


কীভাবে গ্রহরাজের আশির্বাদ পাবেন ভাবছেন? শনিবার কয়েকটি কাজ করুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক



  • অন্যায় কাজ করবে না। স্বজ্ঞানে কারও ক্ষতির চেষ্টায় রুষ্ট হন গ্রহরাজ ।

  • শনিবার সর্ষের তেল কিনুন। এরপর মন্দির অথবা কোনও গরীব মানুষকে তা দান করতে পারেন । শনিদেবের মূর্তিকে সর্ষের তেলে স্নান করালে সুফল মেলে।

  • অভুক্তদের খাবার দিন এই শনিবার করে

  • কালো কুকুরকে খাওয়ান প্রতি শনিবার । এই প্রসন্ন হবেন শনি মহারাজ। পশু-পাখির সেবা করুন ।

  • অন্ন-বস্ত্র দান করুন গরীব মানুষদের ।

  • শনিবার করে শনি মন্দিরে কালো তিল দান করুন ।

  • প্রতি শনিবার সন্ধেবেলা তুলসী তলায় প্রদীপ দিন ।

  • কারও সঙ্গে দুর্ব্য়বহার করবেন না।


আরও পড়ুন: Venus: প্রতি শুক্রবার এই কয়েকটি কাজ করুন! বাড়বে নাম-যশ, খুলবে অর্থ ভাগ্য


জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যাঁদের জন্মছকে শুভস্থানে  শনিদেব রয়েছেন, তাঁদের জীবনে সুখ এবং সৌভাগ্যের বর্ষণ করেন শনিদেব। সেই সব মানুষ চাকরি কিংবা ব্যবসায় সাফল্য ও উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারেন। সমাজে সম্মান-প্রতিপত্তিও বাড়ে। তবে বলা হয়, শনির মহাদশা যেমন মানুষের দিন ফেরায়, তেমনই শনির কৃপা দৃষ্টি যাঁর ওপর থাকে তাঁর পারিবারিক জীবন সুখের হয় না। বিবাহ, প্রেমে নিরন্তর বাধা পায় তাঁরা। তবে সবটাই কথিত কাহিনী।


(উপরে উল্লেখিত প্রতিবেদনটির কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।  সবটাই  প্রচলিত ধারণার ওপর ভিত্তি করে বলা। নিজের ওপর প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকুন)