কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Scam) নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মূলত আদালতে চলা রাজ্যের দুর্নীতির মামলা গুলির শিখরে জ্বলজ্বল করছে নিয়োগ দুর্নীতি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মুনি, নানা মত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে'। তবে যতই 'অপপ্রচার' চলুক, ভারতের আইনে আস্থা রেখে বিচারপতি তাই দাবি করেছেন, সময় লাগলেও বিচার হবেই।


বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'লড়াই শুধু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ নেই, রক্তপিপাসু দালালরাও এখন ময়দানে। কিছু মানুষ এখনও কুৎসা, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের ওপর আমার বিশ্বাস, আস্থা এবং শ্রদ্ধা আছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে আমি কোনও বক্তব্য পেশ করিনি। যে কথা আমি বলিনি সেগুলো আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের আইন সভ্য আইন, কিছুটা সময় হয়তো লাগছে, কিন্তু বিচার হবে', প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 


অপরদিকে, নতুন বছরে সবে পা। জানুয়ারি শেষ হবে হবে করছে, ঠিক তখনই কড়া প্রতিক্রিয়া দেন বিচারপতি। সদ্য তখন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের ( Kuntal Ghosh ) বাড়ি থেকে TET-এর OMR শিট এবং অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছিল।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল যে, 'কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওযা গেছে ১৮৯টি ওএমআর ( OMR )শিট'। আদালতে একথা জানান পর্ষদের আইনজীবী। এরপরই এনিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ( Justice Abhijit Gangopadhyay ) ।

তিনি বলেছিলেন, ' কিছু দুষ্কৃতী কি রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে? কী হচ্ছে এটা?  '  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, ' কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে দুর্নীতি হয়? ' অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। ' কেউ নিজে কিছু করবে না। আবার, আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। ' 


আরও পড়ুন, 'বাংলা যখন শঙ্কিত, মুখ্যমন্ত্রী তখন দীঘার সমুদ্র তটে !', বিস্ময়প্রকাশ সুজনের



এরপরই পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেছিলেন, ED-র কাছে আমি এই ১৮৯ জনের নাম এবং রোল নম্বর জানতে চাই। ED-কে হলফনামা দিয়ে, এই ১৮৯ জনের নাম আর রোল নম্বর জানাতে হবে। বিচারপতি আরও বলেছিলেন, ' আগামী ২৫ বছর তাঁরা যেন কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে না পারেন, তার ব্যবস্থা আমি করব। এত সাহস হয় কী করে? এরা কারা? আমি এদের কিছুটা জমি দিয়ে আন্দামান পাঠিয়ে দেব। চাষ করে খাবে। '