নয়াদিল্লি: ভারতে বহু বাড়িতে ময়ূরের পালক বা ময়ূরের (Peacock) ছবি বা মূর্তি রাখা হয়। শুভ প্রভাব রয়েছে এমনটা বিশ্বাস করেই এমনটা করা হয়। ভাগ্য ভাল হবে, শুভ ঘটনা ঘটবে এমন বিশ্বাস থেকেই এমনটা করা হয়ে থাকে। ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র কী বলছে? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরে দক্ষিণ দিকে ময়ূরের পালক বা প্রতীক রাখলে সাফল্য এসে ধরা দেয়। 


সাফল্যের সঙ্গে ময়ূরের পালকের কী সম্পর্ক?
ভারতীয় সংস্কৃতি অনুয়ায়ী ময়ূরের পালক (Peacock Feather) বর্ষার প্রতীক। যা সব কৃষকদের জন্য খুশির বিশয়। বর্ষায় মতো বিষয়টি কৃষকদের কাছে উৎসবের বিষয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ময়ূরের পালক সৌন্দর্য, সৌভাগ্যের প্রতীক। ঘরে বা কাজের ডেস্কে ময়ূরের পালক বা ময়ূরের প্রতীক বা ছবি রাখলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে জীবনে। সৌভাগ্যও বয়ে আনে। 


এছাড়াও আরও কিছু বিশ্বাস রয়েছে। হিন্দু ধর্মে কার্তিক যুদ্ধের দেবতা হিসেবে বা রক্ষাকর্তা হিসেবে পূজিত হন। ভগবান কার্তিকের বাহন ময়ূর। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী ময়ূরের পালক যাবতীয় নেতিবাচক নজর থেকে এবং ঈর্ষা থেকে রক্ষা করে।


কোন দিকে থাকবে ছবি?
বাড়ির দক্ষিণ দিকে ময়ূরের ছবি রাখা হলে অর্থের জোগান অটুট থাকে। নিয়মিত অর্থাগম হতে থাকবে। বাড়িতে টাকার জোগান নিয়ে সমস্যা থাকলে, ঘরে ওই জায়গায় ময়ূরের ছবি রাখতে হবে। 


বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব (South East) দিকে ময়ূরের ছবি রাখলে তা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 


বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকেও রাখা যায় ময়ূরে ছবি বা প্রতিকৃতি। তবে সেটি জোড়া ময়ূরের হতে হবে এবং সোনালি ফ্রেমে রাখতে হবে। তাহলে দম্পতির সম্পর্কে উন্নতি হবে।


নৃত্যরত ময়ূরের ছবি রাখা যাবে বাড়ির বা অফিসের উত্তর-পশ্চিম দিকে। তাহলে পেশাগত ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা বাড়বে। 


কর্মক্ষেত্রে, কাজের জায়গায় উত্তর দিকে ময়ূরের ছবি, প্রতিকৃতি বা মূর্তি রাখলে কাজে এবং ব্যবসায় আরও ভাল সুযোগ আসবে।


বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Tips) অনুযায়ী পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির জন্যও ময়ূরের ছবি রাখা হয়। ঘরের পশ্চিম দিকে সোনালি ফ্রেমে ময়ূরের ছবি রাখলে পড়াশোনায় মনোযোগ বজায় থাকে। 


কী ধরনের প্রতীক ব্যবহার করা যায়?
ঘরের আকার-আয়তনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ময়ূরের ছবি বা মূর্তির মাপ হওয়া উচিত। 


আরও পড়ুন: সঙ্গীকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সম্পর্কের দফারফা? সন্দেহে নষ্ট সম্পর্ক? কী বলছে রাশি?