সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: গাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকবেন হাঁ করে নাকি গাড়িটা চালাবেন ? এটাই মনে হয়েছিল আমার এই নতুন গাড়ির চাবি হাতে পেয়ে। আমার দেখা অন্যতম সুন্দর গাড়িগুলির মধ্যে একটি এই অ্যাস্টন মার্টিন ডিবি ১২ (Aston Martin DB12)। দিল্লিতে হাড়কাঁপানো শীতের এমনই সকালে গাড়ির সিটবেল্ট বেঁধে নিয়ে চড়ে বসেছিলাম এই অ্যাস্টনে। স্টার্ট বাটনে চাপ দিয়ে V8 গাড়ি চালানো শুরু করি। ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতা সংস্থার গাড়ির মডেলের মধ্যে এটিই প্রথম যা কিনা ভারতের বাজারে আসতে চলেছে। সুপার কার আর জিটির মিশেলে তৈরি এই গাড়িটি দেখতে যেমন, চালাতেও তেমন অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অ্যাস্টন মার্টিন এই গাড়িটিকে বলছে 'সুপার ট্যুরার'। প্রচণ্ড আগ্রাসী রীতিতে ভারতের রাস্তায় নামতে চলেছে এই গাড়ি। অন্য সব মডেলকে যা কিনা এক নিমেষে পিছনে ফেলে দেবে।
কী কী বিষয় চমকে দেবে?
এটা অ্যাস্টন মার্টিনের নয়া যুগ বলা চলে। আর এবার এই সংস্থা জোর দিয়েছে তাদের লুক এবং ডিজাইনের উপর। ট্রাডিশনাল অ্যাস্টন মার্টিনের (Aston Martin DB12) লুক রয়েছে, তবে এর সঙ্গে মিশেছে সুপারকারের ডিজাইন। রাস্তায় চালাতে শুরু করলে যে কোনও মুহূর্তে এই গাড়ি ট্রাফিক থামিয়ে দেবে, তার সঙ্গে এক গাদা লোক ভিড় করে আসবে গাড়ির চারপাশে। এই গাড়ি চালালে মনে হবে যেন কোনও বলিউডি তারকা তাঁর ছবির প্রিমিয়ারে যাচ্ছেন। আমার কাছে সুপারকার হিসেবে খুব একটা আনকমফর্টেবল নয়, চওড়া ভিস্যুয়াল স্ক্রিন, যথাযথ মাপের কেবিন রয়েছে এতে। তবে নতুন সংযোজন হিসেবে এতে যোগ হয়েছে নতুন ঘরানার ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। এতে সব ফাংশনই টাচস্ক্রিনে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কিছু কিছু ক্রুশিয়াল ড্রাইভ বাটন ম্যানুয়ালি রাখা হয়েছে যেটা একটা বাড়তি সুবিধে। তবে বলা যায় টাচস্ক্রিনের কিছু কিছু লে আউটে আরেকটু বদল এলে ভাল হয়, অন্যদিকে ডায়াল ইনফো অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে।
ইঞ্জিন কেমন ?
তবে এর টুইন টার্বো ভি৮ ইঞ্জিন দেখার জন্যেই আমি বেশি উৎসুক ছিলাম। ডিবি ১২ মডেলেই প্রথম এই ইঞ্জিন এসে যুক্ত হয়েছে। তাও আবার ৬৭০ বিএইচপি। অন্য যে কোনও গাড়িকে যা কিনা পারফরম্যান্সের দিক থেকে টেক্কা দিতে সমর্থ। এই গাড়ি চালানোর সময় যে আওয়াজটা হয় তা আপনার কানে বাজবে, কিন্তু আপনি কোনওভাবেই বিরক্ত হবেন না। একেবারে প্রাণহীন সুপারকার বলা চলে না একে।
গতি কতটা ?
মাত্র ৩.৬ সেকেন্ডের মধ্যেই এই গাড়িটি (Aston Martin DB12) ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতি তুলতে পারে। আর সর্বোচ্চ এর গতি ঘণ্টায় ৩০০ কিমি। হুইল ড্রাইভ না থাকলেও এর এত সুন্দর গ্রিপের কারণে এই গাড়ি বেশি গতিতে চালিয়েও আনন্দ পাওয়া যায়। যেহেতু আকারে বড় গাড়ি তাই রাস্তায় বের করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এর স্পেস নিয়ন্ত্রণে রাখাই বড় কাজ।
দামে ভাল ?
দাম ৪.৫ কোটি টাকা যা কিনা সুপারকার হিসেবে অনেকটাই বেশি, কিন্তু জিটি গাড়ির তুলনায় অনেকটাই কম।
কী পছন্দ, কী পছন্দ নয়?
লুক, পারফরম্যান্স, ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা, কোয়ালিটি ইত্যাদি বিষয় গাড়িটিতে বেশ ভাল লেগেছে। তবে এর অতিরিক্ত দাম, রিয়ার সিট এগুলো ভাল লাগেনি।
আরও পড়ুন: New Hyundai Creta 2024: ২৫০০০ টাকাতেই বুকিং, কী চমক রয়েছে হুন্ডাই ক্রেটার নতুন এই মডেলে ?
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI