সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: BMW রেঞ্জের মধ্যে ভারতের বাজারে X1 মডেলটিই সবথেকে বেশি বিক্রি হয়। আর তাই আমরা বেছে নিয়েছি এই গাড়িটির সঙ্গে কিছুদিন থাকব, দেখব আদৌ এটি যথাযথ কারণে জনপ্রিয় কিনা। এর আগে আমরা এই গাড়ি চালিয়ে দেখেছি, কিন্তু এবার আমরা ঠিক করলাম রোজই এই গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করব কেমন অভিজ্ঞতা হয়। আমাদের পরীক্ষামূলক গাড়িটি (BMW SUV) ছিল একটি ডিজেল ভার্সন। আমাদের প্রথম চালানোর অভিজ্ঞতার মধ্যে এর বিঘৎ আকার এখনও মনে আছে। অন্য সব গাড়ির থেকে এটি আকারে অনেকটাই বড়। দেখতেও প্রিমিয়াম লুক আছে এতে। এর অন্যান্য মডেলের মত এতে বড়সড় কোনও গ্রিল নেই ঠিকই, কিন্তু তাতেও এর চমক কমে না।
১৮ ইঞ্চির চাকার উপর বসে একে X3 মডেলের সঙ্গে অনেকেই গুলিয়ে ফেলতে পারেন। এতে বসেই একটা আলাদা ফিল পাবেন আপনি। ফ্লোটিং সেন্টার কনট্রোল থেকে শুরু করে ভার্টিকাল স্মার্টফোন, ওয়ারলেস চার্জিং সিস্টেম, স্লিম ভেন্ট ইত্যাদি অনেকটাই প্রিমিয়াম লুকের। এটাকে বলা যায় একটা এন্ট্রি লেভেলের লাক্সারি এসইউভি গাড়ি (BMW SUV)। কিন্তু তারপরেও কেবনের ভিতরের টাচে কোনও আপোস করা হয়নি এতে। দরজায় যে মেটালিক ডিটেইল রয়েছে তাও বেশ আকর্ষণীয়। তবে টাচস্ক্রিনটি এতটাও বড় নয় অন্যান্য বিএমডব্লিউর মডেলের মত। ফিজিক্যাল বাটন সবই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্লাইমেট কনট্রোল ফাংশান টাচস্ক্রিনেই রয়েছে এবং আশ্চর্যের ব্যাপার এটা এতটা জটিল দুই সপ্তাহ চালানোর পরেও এটিকে আয়ত্তে আনতে পারিনি।
৩৬০ ডিগ্রি রিয়ার ক্যামেরা, হার্মান কোডন অডিয়ো সিস্টেম, রিক্লাইনিং সিট, বড় প্যানোরমিক সানরুফ এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে এই গাড়িতে (BMW SUV) আপনি পিছনে আরামে তিনজনকে বসাতে পারেন। রোড ট্রিপের জন্য এটি বেশ ভাল। পাওয়ারট্রেনের কথা বলতে গেলে, একটা ছোট টার্বো পেট্রল ইঞ্জিন থাকছে এতে, থাকছে ২.০ লিটার ডিজেল ইঞ্জিন। গাড়ি চালালে পরে বোঝা যাবে এতে আরও একটি পাওয়ার দরকার ছিল, কিন্তু এর ড্রাইভিং এক্সপিরিয়েন্স অসামান্য। একথা স্বীকার করতেই হবে। এক্ষেত্রে কোনও AWD অপশন নেই, কিন্তু পেট্রোল ভার্সনটির পাওয়ার আরও কম। ডিজেল X1 মডেলে রয়েছে একটি স্টপ-স্টার্ট সিস্টেম।
তবে নতুন X1 ডিজেলের মডেলটির দাম ৫০ লাখেরও বেশি কিছুটা। এতে কিছু খামতি থাকলেও অন্যান্য আগের মডেলের থেকে BMW-র এই মডেলটি সত্যিই বিশেষ।
আরও পড়ুন: Renault EV: একবার চার্জেই যাবে ৪০০ কিমি, ফ্রান্স থেকে সোজা ভারতে রেনল্টের এই মডেল ?
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI