Electric Bike: একবার চার্জ দিলেই চলবে ১৯৫ কিলোমিটার। এমনই অত্যাধুনিক একটি ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করল হার্লে ডেভিডসন। বাইকের মডেলটির নাম লাইভওয়্যার এস টু মুলহল্যান্ড ইলেকট্রিক বাইক। এই ইলেকট্রিক ক্রুজার বাইকের আগে আরও দুটি মডেল বাজারে এনেছিল হার্লে ডেভিডসন (Harley Davidson Electric Bike)। এটি সংস্থার তৃতীয় মডেল। দু-চাকার ইলেকট্রিক গাড়ির দুনিয়া এই বাইক এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে দাবি করছে সংস্থা। ডিজাইনেও এটি অন্যান্য বাইকের থেকে অনেক আলাদা।
বাইকের ফিচার্স
ব্যাটারি প্যাকের (Harley Davidson Electric Bike) কথা বলতে গেলে এই বাইকে থাকছে ১০.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি প্যাক। এই ব্যাটারি প্যাকে সম্পূর্ণ চার্জ দিলে ১৯৫ কিলোমিটার পথ যাওয়া যায়। হার্লে ডেভিডসনের এই নতুন বাইকে সর্বোচ্চ ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টায় গতি উঠতে পারে। ২৬৩ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারবে এই ইলেকট্রিক বাইক যা এখনও পর্যন্ত কোনও বাইকেই নেই।
কত গতি উঠবে এই বাইকে
এই বাইক মূলত একাধারে ক্ষমতা আর ইভি প্রযুক্তিকে একসূত্রে মিশিয়ে দিয়েছে। এই ইলেকট্রিক বাইকে মাত্র ৩.৩ সেকেন্ডের মধ্যেই ০-৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় গতি উঠতে পারে। চার্জ দিতে সময় লাগে ৭৮ মিনিট। এটা যদিও লেভেল ২ চার্জিংয়ের কথা বলা হয়েছে।
কী কী ভ্যারিয়ান্ট
এই বাইকটি আপাতত তিনটি রঙের ভ্যারিয়ান্টে পাওয়া যাবে। লিকুইড ব্ল্যাক, রেড ও সাদা এই তিন রঙে কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা। লক ব্রেকিং সিস্টেম, ৪ ইঞ্চির টিএফটি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, ব্লুটুথ ও স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি, ওটিএ আপডেট, এলইডি ট্র্যাকশন কনট্রোল ইত্যাদি সমস্ত ফিচার্সই আছে এই গাড়িতে। গাড়ির ওজন অনেকটাই বেশি ১৯৫ কেজি।
দাম কত এই ইলেকট্রিক বাইকের
এই বাইকের (Harley Davidson Electric Bike) দাম সংস্থার ওয়েবসাইট অনুসারে ধার্য হয়েছে ১৫,৯৯৯ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ১৩.৩৩ লাখ টাকা। মার্কিনি মুলুকে এই গাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে হার্লের অন্য কিছু কিছু মডেলের মত এই গাড়িটিও ভারতের বাজারে আসবে কিনা তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। হার্লের সবথেকে প্রিমিয়াম বাইকের দাম ১৯ লাখ টাকা। ফলে সেই তুলনায় এই লাইভওয়্যার এস টু মুলহল্যান্ড ইলেকট্রিক বাইক ফ্ল্যাগশিপ মডেলে পড়ে না।
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI