সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: ইভির চাহিদা বেশ বেড়ে চলেছে ভারতীয়দের মধ্যে, কিন্তু দামের অনুপাতে পছন্দসই গাড়ি সেভাবে পাওয়া যেত না। সাব ২৫ লাখ স্পেসের মধ্যে ভাল পছন্দমত গাড়ি পাওয়া খুবই সমস্যা ছিল বলা চলে। আর এই সমস্যাগুলির সহজ সমাধান নিয়ে হাজির হল মহিন্দ্রা। আর এই নতুন প্রকল্পের মধ্যে ২০২৪ সালে নতুন বছরে নতুন করে শুরু করবে মহিন্দ্রা তাদের নতুন ইভি মডেল দিয়ে। বাজারে এসেছে Mahindra XUV400 Pro EV। বলা ভাল, XUV400-এর আপডেটেড ভার্সন এটি। সাধ্যের মধ্যে দাম আর পছন্দসই গাড়ির মডেল, সমাধান একটাই মহিন্দ্রা XUV400 Pro ইভি।


এক্সটিরিয়র


বাইরের দিক থেকে তেমন কিছু পরিবর্তন না হলেও একটা শার্ক-ফিন অ্যান্টেনা আর নতুন ইভি ব্যাজ এটাই যা বদল। প্রপোরশনের দিক থেকে বেশ ভাল স্পেস রয়েছে এই গাড়িতে। রয়েছে ডুয়ালটোন অপশনও।


ইন্টিরিয়র


নতুন ডুয়াল টোন কালার স্কিম এসেছে এই গাড়িতে (Mahindra XUV400 Pro EV)। আগের থেকে এর কারণে গাড়ির ভিতরের স্পেসকে অনেক বেশি খোলামেলা মনে হয় আর অনেক বেশি প্রিমিয়াম লুকের মনে হয়। নতুন স্করপিওর মত স্টিয়ারিং হুইল আছে এতে, নতুন ডুয়াল স্ক্রিনও আছে। নতুন একটি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার রয়েছে এই গাড়িতে যেখানে বেসিক ইভির সমস্ত ফিচার্স রয়েছে আর রয়েছে টায়ার প্রেশার মাপার ব্যবস্থাও।


টাচস্ক্রিনের কথা বলতে গেলে ১০.২৫ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন বেশ ভালই। একেবারে নতুন বলা চলে আর নতুন ফিজিক্যাল শর্টকাটও রয়েছে কিছু কিছু। একেবারে নতুন Adrenox System-ও রয়েছে এতে। XUV700-এর মতই এর লে-আউট, আমরা যদি ফিচার্সের কোথায় আসি তবে মহিন্দ্রা XUV400 Pro EV মডেলে রিয়ার ক্যামেরা, ড্রাইভ মোড, সানরুফ সহ আরও অনেক ফিচার্সই রয়েছে। বলাই বাহুল্য মহিন্দ্রার এটাই সবথেকে স্পেসিয়াস ইভি যা কিনা মাত্র ২৫ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। আলাদা হেডরেস্টের সঙ্গে তিনজন এই গাড়ির পিছনে আরাম করে বসতে পারবে। এই গাড়িতে আলাদা করে আবার একটা চার্জিং পোর্ট, একটা স্টোরেজ স্পেস, রিয়ার এসি ভেন্টও রয়েছে।


পরীক্ষা করে কী মনে হল ?


আমরা সাধারণভাবে ইভি টেস্ট করার বদলে একে নিয়ে গিয়েছিলাম পাহাড়ি অঞ্চলে। 150 bhp/310Nm মোটর এবং দুটি ব্যাটারি প্যাক সহ এই গাড়িটি (Mahindra XUV400 Pro EV) এলেও আরও টপ-এন্ড ফিচার্স রয়েছে এতে। আমাদের যে ব্যাটারি প্যাক ছিল তাতে আপনি কেমন চালাচ্ছেন গাড়ি সেই বুঝে ২৭০-৩০০ কিমি গতি উঠত। তিনটে ড্রাইভ মোড রয়েছে এতে, পাহাড়ি রাস্তায় গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সে কোনও সমস্যা হয় না। অফ-রোড ক্ষমতা এর কম বলে মনে হলেও চালাতে গিয়ে বোঝা গেল বেশ ভাল।


কী পছন্দ-     লুকস, স্পেস, পারফরম্যান্স, টাফনেস, নতুন ফিচার্স


কী পছন্দ নয়- এখনও কিছু কিছু ফিচার্স মিসিং আছে এই মডেলে


আরও পড়ুন: Electric Scooter: ফ্যামিলি ইলেকট্রিক স্কুটার Ather Rizta, কবে আসছে ভারতে?


Car loan Information:

Calculate Car Loan EMI