সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়:  বড়সড় SUV-র দুনিয়ায় মার্সিডিজ বেঞ্জের এই নতুন মডেল সাড়া ফেলেছে ইতিমধ্যেই। আর মার্সিডিজের টপ সেলিং মডেলগুলির মধ্যেও এটি অন্যতম। তবে এবার বড় আপডেট নিয়ে এল এই সংস্থা। এই নতুন মডেলটি S class-এর প্রথম মডেল হতে চলেছে। বিলাসবহুল উপাদান এবং আরামের দিক থেকে আরও অনেক পরিবর্তন হতে চলেছে এই গাড়িতে (Mercedes-Benz GLS Facelift)।


ইন্টিরয়র


নতুন GLS মডেল হিসেবে আপনি এখানে দেখতেই পাবেন G-Wagen-এর মত গ্রিল ব্যবস্থা। এছাড়া বাম্পার, ডিআরএল এবং লাইটিং পজিশন একেবারেই অভিনব। রিয়ার ডিজাইনে থাকছে নতুন টেইল ল্যাম্প। তবে বড়সড় বদল এসেছে ইন্টিরিয়রে। বলা ভাল ইন্টিরিয়রের প্রযুক্তিতে। প্রথমত এর ভিতরে দেখা যাবে নতুন লুকের স্টিয়ারিং হুইল যা কিনা মার্সিডিজ বেঞ্জের আগের মডেলগুলির (Mercedes-Benz GLS Facelift  তুলনায় অনেকটাই ভাল। টাচস্ক্রিনে এসেছে অভিনব MBUX ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। আর বড় আপডেট এই যে, টাচস্ক্রিনটি সম্পূর্ণরূপে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের উপর নির্ভর করে কাজ করবে। অন্যান্য মার্সিডিজ মডেলের মত এই মডেলটিতেও থাকছে ট্রান্সপারেন্ট বনেট এবং অফ-রোড স্ক্রিন।


লাক্সারি অ্যান্ড কমফর্ট


খুব ভাল করে নজর করলে আপনি দেখতে পাবেন এই গাড়িতে Maybach Trim Element রাখা হয়েছে যা কিনা যে কোনও গাড়ির লাক্সারি এলিমেন্টের তুলনায় অনেকগুণ এগিয়ে দেবে মার্সিডিজ বেঞ্জের GLS Facelift মডেলকে।


ফিচার্স


ফিচার্সের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় ADAS system-এর কথা যার মধ্যে আবার রয়েছে অ্যাক্টিভ স্টপ অ্যান্ড গো, অ্যাক্টিভ সিট ভেন্টিলেশন অ্যান্ড হিটিং, সুপার্ব ১৩ পাওয়ার বার্মেস্টার অডিও সিস্টেম ইত্যাদি অজস্র সুবিধে। উল্লেখ্য এর মধ্যে আপনি ডলবি অ্যাটমস্ফিয়ারও পাবেন।


রিয়ার সিট সব গাড়ির (Mercedes-Benz GLS Facelift) ক্ষেত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গাড়ির মডেলের ক্ষেত্রে রিয়ার এন্টারটেইনমেন্ট স্ক্রিন, MBUX ট্যাবলেট তো আছেই, উপরন্তু আপনি চাইলে সামনের যাত্রীর সিটকে আরেকটু এগিয়ে রিয়ার সিটের স্পেস আরও বাড়িয়ে নিতে পারেন।


S Class গাড়ির প্লাশ মডেলের মত এখানে সিটগুলি বেশ আরামপ্রদ। তাছাড়া ইলেকট্রিক সান ব্লাইন্ডও রয়েছে এখানে। থার্ড রো'টা বেশ ভাল, কিন্তু গাড়ির আকারের তুলনায় সেখানে একটু স্পেস কম পড়েছে বলেই মনে হল। অল্প দূরত্বের জার্নির ক্ষেত্রে এই গাড়িতে কোনও অসুবিধে হবে না।


গাড়ির ড্রাইভিং এক্সপিরিয়েন্সের কথা বলতে হলে টায়ারে কোনও নয়েজ় নেই, ইঞ্জিন নয়েজ়ও একেবারেই নেই বললেই চলে। এই গাড়ি আরামের দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়ে বানানো হয়েছে, তাই স্পোর্টিনেসের নিরিখে একটু পিছিয়ে থাকবে। আকারে বড় হওয়ায় শহরের রাস্তায় এটিকে অনেকটাই বড় দেখাবে, পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।


কী কী ভাল?


আরাম, গাড়ির প্রেজেন্স, গুণমান, ফিচার্স, রিফাইনমেন্ট


কী কী খারাপ?


শহরের রাস্তায় চালানোর জন্য উপযুক্ত নয়।


আরও পড়ুন: Aston Martin DB12: চোখ ফেরানোই দায় ! অ্যাস্টন মার্টিনের নয়া মডেল যেন গাড়িপ্রেমীদের স্বর্গ


Car loan Information:

Calculate Car Loan EMI