Driving License: নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকেই। আর এই নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই ট্রাফিক আইন আরও কঠোর হতে চলেছে। গাড়ি চালকদের বকেয়া ট্রাফিক চালান জমা করার জন্য বলা হয়েছিল আগেই। কর্তৃপক্ষের তরফে (Traffic Challan) জানানো হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে যে এই ট্রাফিক চালান বকেয়া যা আছে তা জমা না করে থাকলে বড় জরিমানা হতে পারে, এমনকী আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে। এই নয়া নিয়মের অধীনে তিন মাস পর্যন্ত আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) বাতিল থাকতে পারে যদি বিগত ৩ মাস ধরে আপনার নামে কোনও ই-চালান বকেয়া থেকে থাকে।

একইসঙ্গে লাল আলোর বিধিভঙ্গ তিনবার হলে, এক বছরের মধ্যে তিনবার দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর জন্য আটক হলেও আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য বাতিল হতে পারে। ই-চালান ঠিকমত জমা না হওয়ার কারণে তা রিকভারিতে জোর দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত বকেয়া ট্রাফিক চালানের মাত্র ৪০ শতাংশই আদায় হয়েছে। এমনকী সরকার এমনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে চালকদের আগের বছর দুটি ট্রাফিক চালান মুলতুবি বা বকেয়া রয়েছে তাদের বিমার প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

দেরিতে বিজ্ঞপ্তি বা কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রাফিক চালান জমা করায় দেরি হয়ে থাকলে সরকার তা অনুমোদন করবে বলেই জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে একটি সংহত কার্য পরিচালন পদ্ধতি প্রয়োগ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ট্রাফিক ক্যামেরার জন্য ন্যূনতম স্পেসিফিকেশন এবং গাড়ির মালিকদের মাসিক ভিত্তিতে সতর্কতা জানানো হবে।

পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে সবথেকে কম রিকভারি হার রয়েছে দিল্লিতে মাত্র ১৪ শতাংশ, এরপরেই রয়েছে কর্ণাটকের স্থান ২১ শতাংশ। তারপর তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশে ২৭ শতাংশ করে। তবে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় ৬২ ও ৭৬ শতাংশ করে রিকভারি রেট রয়েছে।

বেড়েছে টোল ট্যাক্স

ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একটি বিবৃতি থেকে জানা যায়, গাড়ি ও জিপের জন্য দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের ওয়ান ওয়ে টোল (Toll Tax Hike) সরাই কালে খান থেকে মিরাট পর্যন্ত ১৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭০ টাকা। অন্যদিকে গাজিয়াবাদ থেকে মিরাট পর্যন্ত টোল ট্যাক্স ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ টাকা। দেশের অন্যান্য হাইওয়ের জন্যও নির্দিষ্ট হারে টোল ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। 


Car loan Information:

Calculate Car Loan EMI