ঢাকা: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত ফজর আলিকে। সে Bangladesh Nationalist Party-র স্থানীয় নেতা বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ধৃতদের বিরুদ্ধে। (Bangladesh News)

Continues below advertisement

বাংলাদেশের মুরাদনগর উপজেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, গত ২৬ জুন ২১ বছর বয়সি এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়।  রাত ১০টা নাগাদ কার্যত জোর করে ওই তরুণীর বাপের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৩৮ বছর বয়সি ফজর।  নির্যাতিতার উপর অত্যাচার চালায় সে। (Bangladesh Hindu Woman Assaulted)

নির্যাতিতার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী দুবাইয়ে কর্মরত। হরিসেবা উৎসবের জন্য বাপের বাড়ি এসেছিলেন সন্তানদের নিয়ে। অত রাতে দরজা খুলতে রাজি হননি নির্যাতিতা। কিন্তু তাতেও নিরস্ত করা যায়নি ফজরকে। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে নির্যাতিতাকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

Continues below advertisement

ঘটনার রাতে স্থানীয়রাই ফজরকে ধরে ফেলে। বেধড়ক মারধরও করা হয় তাকে। কিন্তু ভিড়ের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যেতে সফল হয় সে। এর পর রবিবার ঢাকার সায়দাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ জুন মামলা দায়ের হয় থানায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুরাদনগর থানার পুলিশ।

এই ঘটনায় মুরাদনগরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপরই অত্যাচার বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে  কঠোর শাস্তি দেওয়া অভিযুক্তদের।

এই মুহূর্তে কুমিল্লার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফজর। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, স্থানীয়দের হাতে মার খেয়ে আহত ফজর। আত্মগোপনের চেষ্টা করে সে। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি চারজনকে নিয়ে রাখা হয়েছে পুলিশ সুপারের দফতরে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারণ তারা নির্যাতিতার ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়াতেই টনক নড়ে পুলিশ ও প্রশাসনের। 

কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। অভিযুক্তের নাগাল পেতে প্রযুক্তির সাহায্য় নেন তাঁরা। লোকেশন ট্র্যাক করেই তার অবস্থান জানা যায়, সেই মতো গ্রেফতার করা হয়। ফজরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিম্যান্ডের আবেদবন জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাংলাদেশের সমাজকর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য এ নিয়ে সরব হয়েছেন ফেসবুকে। তিনি জানিয়েছেন, ফজর আগে আওয়ামি লিগ করত। কিন্তু এই মুহূর্চে সে কাদের মদতে কাজ করছে, তা কারও জানতে বাকি নেই। ফজরকে BNP-র কেউ আশ্রয় দিয়ে থাকলে, সেই নিয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।