Govt Amends Passport Rule: এবার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে গেলে এই নথি আবশ্যিক, এই নথি ছাড়া আবেদন গৃহীত হবে না। ১৯৮০ সালের পাসপোর্টের আইনে সংশোধনী আনছে কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে পাসপোর্টের জন্য জন্মের প্রমাণপত্র হিসেবে জন্ম শংসাপত্রকেই শিরোধার্য করা হচ্ছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ মিউনিসিপ্যাল অথরিটির (Passport Rules) পক্ষ থেকে জন্মের পরে যে জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয়, সেই নথিকেই আবশ্যিক করছে কেন্দ্র সরকার। রেজিস্ট্রার অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথসের পক্ষ থেকে এই জন্ম শংসাপত্র ইস্যু (Govt Amends Passport Rule) করা হয়। তবে সকলের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবরের পরে জন্ম এমন সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জন্মের প্রমাণপত্র হিসেবে এই বার্থ সার্টিফিকেটই একমাত্র প্রামাণ্য নথি হিসেবে ধার্য করছে কেন্দ্র সরকার।
এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ারস মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিগত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, পাসপোর্টের এই পুরনো আইন বা নিয়ম-নীতিতে সংশোধনী আনা হচ্ছে ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইনের ২৪ নং ধারার অধীনে। ২০২৫ সালের পাসপোর্ট নিয়ম অনুসারে এবার থেকে সকল বিধি কার্যকর হবে। নয়া নিয়ম চালু করার দিন থেকেই এই নয়া সংশোধনী আইন কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। রেজিস্ট্রার অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথস, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কিংবা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের তরফে ইস্যু করা জন্মের শংসাপত্র (Govt Amends Passport Rule) এবার থেকে ১ অক্টোভর ২০২৩-এর পরে জন্মানো সকল ব্যক্তিদের পাসপোর্টের আবেদনের জন্য আবশ্যিক বলে গণ্য করা হবে। রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থস অ্যান্ড ডেথস ১৯৬৯-এর অধীনে এই পাসপোর্টের নিয়মে বদল করা হয়েছে।
এই সংশোধনী অনুসারে যারা ২০২৩ সালের ১ অক্টোবরের আগে জন্মেছেন তারা পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে অন্য কোনও নথিও জন্মের প্রমাণপত্র হিসেবে দেখাতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে স্কুলের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট বা স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট যেখানে প্রার্থীর জন্মতারিখের উল্লেখ থাকে। এছাড়া কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া প্যান কার্ড, সরকারি কর্মীদের সার্ভিস রেকর্ডের কপি ইত্যাদিও নথি হিসেবে কাজে লাগতে পারে জন্মের প্রমাণপত্র হিসেবে। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ডও এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: Women Rights: বিবাহিত মহিলাদের রয়েছে এই ৫ গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধিকার, জেনে রাখা জরুরি